Tuesday, May 18, 2010
Open Your Eyes
Look around yourselves
Cant you see this wonder
Spreaded infront of you
The clouds floating by
The skies are clear and blue
Planets in the orbits
The moon and the sun
Such perfect harmony
Lets start question in ourselves
Isnt this proof enough for us
Or are we so blind
To push it all aside..
No..
We just have to
Open our eyes, our hearts, and minds
If we just look bright to see the signs
We cant keep hiding from the truth
Let it take us by surprise
Take us in the best way
(Allah..)
Guide us every single day..
(Allah..)
Keep us close to You
Until the end of time..
Look inside yourselves
Such a perfect order
Hiding in yourselves
Running in your veins
What about anger love and pain
And all the things youre feeling
Can you touch them with your hand?
So are they really there?
Lets start question in ourselves
Isnt this proof enough for us?
Or are we so blind
To push it all aside..?
No..
We just have to
Open our eyes, our hearts, and minds
If we just look bright to see the signs
We cant keep hiding from the truth
Let it take us by surprise
Take us in the best way
(Allah..)
Guide us every single day..
(Allah..)
Keep us close to You
Until the end of time..
When a babys born
So helpless and weak
And youre watching him growing..
So why deny
Whats in front of your eyes
The biggest miracle of life..
We just have to
Open our eyes, our hearts, and minds
If we just look quiet well see the signs
We cant keep hiding from the truth
Let it take us by surprise
Take us in the best way
(Allah..)
Guide us every single day..
(Allah..)
Keep us close to You
Until the end of time..
Open your eyes and hearts and minds
If you just look bright to see the signs
We cant keep hiding from the truth
Let it take us by surprise
Take us in the best way
(Allah..)
Guide us every single day..
(Allah..)
Keep us close to You
Until the end of time..
Allah..
You created everything
We belong to You
Ya Robb we raise our hands
Forever we thank You..
Alhamdulillah..
Saturday, April 17, 2010
If we give preference to Allah, He will give preference to us.
Stand before Allah like a hired servant. You will find Him most compassionate, most merciful. While on our jobs we try our best to do what our employer asks of us. Why? Because we want to be paid! We understand that if we fail to perform our specified job, we not only jeopardize our pay; we might even lose our job. We should be just diligent in the work we are doing for Allah. He is the “Biggest boss.” Yet, how well are we performing the job He has commissioned us to do?
Allah wants us to worship Him based on the guidance He has sent through His prophet (pbuh). If we do that we receive compensation greater than anything anyone in this world can offer-Paradise! Allah mentions in the Quran that He has purchased our lives and wealth and in exchange we are given paradise (9:111) if we know that our job in this world is to worship Allah, and if we know that Allah has promised us the recompense of paradise, then we should use our time, talent, skills, and abilities in performing that job.
When we prefer pleasing Allah to pleasing ourselves or others, we have made a statement concerning the purity of our faith. Allah mentions in the Holy Quran, “Those who believe are more intense in their love for Allah. (2:165)” If our loves for Allah is true then we will prefer Him to all others. This is a sign of true faith. One of our religious principles in that what we get from Allah is a reflection of what we offer Him. Allah says in the Quran' "O you who have believed, if you help Allah, Allah will help you.(47:7)"
Allah wants us to worship Him based on the guidance He has sent through His prophet (pbuh). If we do that we receive compensation greater than anything anyone in this world can offer-Paradise! Allah mentions in the Quran that He has purchased our lives and wealth and in exchange we are given paradise (9:111) if we know that our job in this world is to worship Allah, and if we know that Allah has promised us the recompense of paradise, then we should use our time, talent, skills, and abilities in performing that job.
When we prefer pleasing Allah to pleasing ourselves or others, we have made a statement concerning the purity of our faith. Allah mentions in the Holy Quran, “Those who believe are more intense in their love for Allah. (2:165)” If our loves for Allah is true then we will prefer Him to all others. This is a sign of true faith. One of our religious principles in that what we get from Allah is a reflection of what we offer Him. Allah says in the Quran' "O you who have believed, if you help Allah, Allah will help you.(47:7)"
Wednesday, April 7, 2010
“দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ”- আমরা কতটুকু দেশপ্রেমিক? স্বাধীনতা লাভের এতগুলো বছর পর আমরা প্রকৃতপক্ষে কতটুকু স্বাধীন?
একটি দেশের স্বাধীনতা বলতে কি শুধুমাত্র সেই দেশের ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে আইনগতভাবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং তার প্রয়োগ করাকেই বুঝায়? না তা নয়। একটি দেশকে প্রকৃত স্বাধীন তখনি বলা যাবে যখন সেই দেশে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, মানবিক স্বাধীনতা থাকবে। স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। প্রত্যেক মানুষই চায় স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে। ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি স্বাধীন হয়েছে। আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, এতগুলো বছরেও আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে পারিনি। দল মত নির্বিশেষে শান্তি শৃঙ্খলাপূর্ণ সমাজ গঠনে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ‘তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৩)। ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না। করলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে।’ (সূরা আনফাল, আয়াত ৪৬)। আজও আমরা পারস্পরিক রাজনৈতিক বিবাদ ও শত্রুতা দূর করতে পারিনি। পারিনি দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং অজ্ঞতা থেকে মুক্ত হয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, শিক্ষিত ও দুর্নীতিমুক্ত জনপদ গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার ৩৯টি বছরে দেশবাসীর স্বপ্ন আর প্রত্যাশার রূপায়ণ সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু কেন? আমাদের কিসের অভাব? ঘাটতি শুধু এক জায়গাতেই। তা হল দেশপ্রেম।
দেশপ্রেম স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে, অর্থবহ করে, দেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতি মজবুত করে। দেশপ্রেম থাকলেই দেশ রক্ষার প্রশ্ন আসে, নি:স্বার্থভাবে দেশের জনগণের সেবার প্রশ্ন আসে। দেশপ্রেম না থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়াই হয় মুখ্য। ‘হুব্বুল অতানে মিনাল ইমাম’ বা দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) জালিম, ভণ্ড প্রতারক ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মক্কা এবং মদিনা স্বাধীন করে অল্প সময়ের মধ্যে পুরো আরব ভূমিকে ভরে দিয়েছিলেন শান্তি ও নিরাপত্তায়, শৃংখলায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টনে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে, ভ্রাতৃত্ববোধে এবং কল্যাণে। মহানবী (সাঃ) এর রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসনের যে উজ্জ্বল বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাই, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছু আছে। মহানবী (সাঃ) তার প্রশাসনে যোগ্য ব্যক্তিদের উপযুক্ত পদে আসীন করেছিলেন, যারা ছিলেন সৎ, দক্ষ, আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা ছিলেন সবচেয়ে অগ্রগামী। জনগণের জন্য কাজ করাকে যারা ইবাদত বলে মনে করতেন। তাদের বিরুদ্ধে ছিল না কোনো দুর্নীতির অভিযোগ।
দু:খের বিষয় হলো আমরা অধিকাংশই সেই সফল, সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক প্রিয় নবীর উম্মত হয়েও স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়ে কী দিতে পেরেছি দেশ ও দেশের মানুষকে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করতে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ নেই। ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ (বা অন্যায়ভাবে গোপন) করবে সে কিয়ামতের দিন আত্মসাৎকৃত সম্পদ সাথে নিয়ে হাজির হবে।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৬১)। পৃথিবীতে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আজ পরিচিত। কিন্তু বিশৃঙ্খলা, বিবাদ, দুর্নীতি, প্রতারণা, ঘুষ, লুট, হানাহানি ক্ষমতার অপব্যবহারে আমরা আজ সবার শীর্ষে স্খান করে নিয়েছি। আজ আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বলেই সব জায়গাতেই একটা অরাজক পরিস্থিতি। ধনী গরীব বৈষম্য আজ ব্যাপক। কারও মাথাগুঁজার ঠাঁই নাই আবার কারও বা রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অট্টালিকা; কেউ ভিক্ষা করে আবার কেউ বা অবৈধ টাকা রাখার জায়গা পায় না। আজ মানুষের মধ্যে এত ভেদাভেদের একমাত্র কারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, মানবতাবোধ নেই, ভালোবাসা নেই, নেই একে অন্যের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ। আজকের এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য আমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করতে হবে। ভালোবাসতে হবে দেশের মানুষকে, ভালোবাসতে হবে দেশকে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে কিছু দেয়ার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। তবেই একটা সুখী-সমৃদ্ধিশালী, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
দেশপ্রেম স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে, অর্থবহ করে, দেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতি মজবুত করে। দেশপ্রেম থাকলেই দেশ রক্ষার প্রশ্ন আসে, নি:স্বার্থভাবে দেশের জনগণের সেবার প্রশ্ন আসে। দেশপ্রেম না থাকলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাওয়াই হয় মুখ্য। ‘হুব্বুল অতানে মিনাল ইমাম’ বা দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) জালিম, ভণ্ড প্রতারক ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মক্কা এবং মদিনা স্বাধীন করে অল্প সময়ের মধ্যে পুরো আরব ভূমিকে ভরে দিয়েছিলেন শান্তি ও নিরাপত্তায়, শৃংখলায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টনে, অর্থনৈতিক উন্নয়নে, ভ্রাতৃত্ববোধে এবং কল্যাণে। মহানবী (সাঃ) এর রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসনের যে উজ্জ্বল বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাই, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছু আছে। মহানবী (সাঃ) তার প্রশাসনে যোগ্য ব্যক্তিদের উপযুক্ত পদে আসীন করেছিলেন, যারা ছিলেন সৎ, দক্ষ, আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা ছিলেন সবচেয়ে অগ্রগামী। জনগণের জন্য কাজ করাকে যারা ইবাদত বলে মনে করতেন। তাদের বিরুদ্ধে ছিল না কোনো দুর্নীতির অভিযোগ।
দু:খের বিষয় হলো আমরা অধিকাংশই সেই সফল, সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক প্রিয় নবীর উম্মত হয়েও স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়ে কী দিতে পেরেছি দেশ ও দেশের মানুষকে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি করতে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ নেই। ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ (বা অন্যায়ভাবে গোপন) করবে সে কিয়ামতের দিন আত্মসাৎকৃত সম্পদ সাথে নিয়ে হাজির হবে।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৬১)। পৃথিবীতে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আজ পরিচিত। কিন্তু বিশৃঙ্খলা, বিবাদ, দুর্নীতি, প্রতারণা, ঘুষ, লুট, হানাহানি ক্ষমতার অপব্যবহারে আমরা আজ সবার শীর্ষে স্খান করে নিয়েছি। আজ আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বলেই সব জায়গাতেই একটা অরাজক পরিস্থিতি। ধনী গরীব বৈষম্য আজ ব্যাপক। কারও মাথাগুঁজার ঠাঁই নাই আবার কারও বা রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অট্টালিকা; কেউ ভিক্ষা করে আবার কেউ বা অবৈধ টাকা রাখার জায়গা পায় না। আজ মানুষের মধ্যে এত ভেদাভেদের একমাত্র কারণ মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, মানবতাবোধ নেই, ভালোবাসা নেই, নেই একে অন্যের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ। আজকের এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য আমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করতে হবে। ভালোবাসতে হবে দেশের মানুষকে, ভালোবাসতে হবে দেশকে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে কিছু দেয়ার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। তবেই একটা সুখী-সমৃদ্ধিশালী, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
Friday, March 12, 2010
আত্নার প্রশান্তির খাদ্য
আত্নার প্রশান্তির খাদ্যঃ
১) আল্লাহকে সর্বদা ভয় করা, পাপ পূর্ন বিষয়ে নিজে সচেতন থাকা এবং পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসাবে জীবনের কি উদ্দেশ্য তা ভালভাবে বুঝতে পারা।
২) বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া ও তওবার মাধ্যমে আল্লাহর শরনাপর্ন হওয়া।
৩) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ ও দয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা।
৪) নিজ স্বার্থ ও ভোগ বিলাস বিসর্জন দিয়ে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলা।
৫) অসহায় দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং দরিদ্রকে সাহায্য করার মানসিকতা তৈরী করা।
৬) ক্রোধ, লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা ইত্যাদি খারাপ গুনগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করা।
১) আল্লাহকে সর্বদা ভয় করা, পাপ পূর্ন বিষয়ে নিজে সচেতন থাকা এবং পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসাবে জীবনের কি উদ্দেশ্য তা ভালভাবে বুঝতে পারা।
২) বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া ও তওবার মাধ্যমে আল্লাহর শরনাপর্ন হওয়া।
৩) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর অসীম অনুগ্রহ ও দয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা।
৪) নিজ স্বার্থ ও ভোগ বিলাস বিসর্জন দিয়ে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলা।
৫) অসহায় দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং দরিদ্রকে সাহায্য করার মানসিকতা তৈরী করা।
৬) ক্রোধ, লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা ইত্যাদি খারাপ গুনগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করা।
Tuesday, March 9, 2010
Thursday, February 25, 2010
একজন নারী উম্মে আয়মান (রাঃ)
হযরত উম্মে আয়মান (রাঃ) তার আরও একটি নাম নাজদিয়া। কিন্তু ঐতিহাসিকগণ উম্মে আয়মান বলেই সর্বত্র উল্লেখ করেছেন। তার পিতার নাম ফররুক ইবনে মাসরুক। মাতার নাম উয্রা। তিনি সিরিয়া রাজ্যের অন্তর্গত রামাল্লা শহরের অধিবাসী গাফতানী গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। রামাল্লা থেকে পিতার সাথে উম্মে আয়মান দামেস্ক যাওয়ার পথে দস্যু কর্তৃক ফররুকের কাফেলা অতর্কিত আক্রমণের শিকার হয়। ফররুকসহ আরো কয়েকজনকে আহত এবং নিহত করে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। কাফেলার সাথে থাকা বালক-বালিকা এবং স্ত্রী লোকদেরকে দস্যুদল খোলা বাজারে পণ্যের মত বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন চরিত্রের মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয়। হযরত উম্মে আয়মান ছিলেন তাদের মধ্যে এগার-বারো বছরের এক বালিকা।
প্রিয় নবী (সাঃ) এর পিতা আব্দুল্লাহ সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে ফেরার পথে দোমাতুল জন্দন থেকে ৮০ দিনারে ক্রয় করে আনেন উম্মে আয়মানকে। এর এক বছর পর বিবি আমেনার সাথে আবদুল্লার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর স্বামী আবদুল্লাহ উম্মে আয়মানকে দাসী হিসাবে বিবি আমেনার কাছে সোপর্দ করেন। দাসীর খেদমতে বিবি আমেনা অত্যন্ত খুশি হয়ে তাকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে দেন। আমেনা বললেন, "আয়মান, তুমি তো এখন আযাদ। যেখানে ইচ্ছা তুমি চলে যেতে পার।" তিনি জবাব দিলেন, "এমন দয়ালু মনিব ছেড়ে যাবই বা কোথায়? এই পৃথিবী আমার অপরিচিত। তাছাড়া দস্যুর কবলে পড়ে আমার পিতা-মাতা নিরুদ্দেশ। বাইরে বের হলে আবার আর একজন দাসী হিসাবে ব্যবহার করবে। আমি যাবো না। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন আপনার সেবিকা হিসাবেই থাকতে চাই।" আবদুল্লাহ অত্যন্ত খুশি হলেন আয়মানের কথা শুনে এবং বললেন, "বেশ তো তোমার মন চাইলে তুমি থাকতে পার।" উম্মে আয়মান (রাঃ) সেদিন থেকে নবী পরিবারের সদস্যা হিসাবে বসবাস শুরু করেন। বিবি আমেনা উম্মে আয়মানকে ছোটবোন হিসাবেই দেখতেন। প্রিয় নবী (সাঃ) এর পিতা আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ছয় বছর পর মা আমেনা যখন স্বামীর কবর জিয়ারতের ইচ্ছা করেন তখন আব্দুল মোত্তালিব তার সঙ্গিনী হিসাবে উম্মে আয়মানকেও সাথে পাঠালেন। বিবি আমেনার ইন্তেকালের পর শিশু নবীকে তার দাদার কাছে পৌঁছে দেন উম্মে আয়মান। তার সেবা-যত্নে প্রিয় নবী (সাঃ) শৈশব ও কৈশোর জীবন পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেন। প্রিয় নবী (সাঃ) এর ২৫ বছর বয়সে যখন বিবি খাদিজার সাথে বিয়ে হয়েছিল তখনও উম্মে আয়মান মায়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত উম্মে আয়মানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। মাতৃভক্তির চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে গিয়েছেন প্রিয় নবী (সাঃ)।
তিনি তার পালিত পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসার সাথে উম্মে আয়মানের বিবাহ দিয়ে ছিলেন। চল্লিশ বছর বয়সে প্রিয় নবী (সাঃ) নবুয়াত লাভের পর হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) প্রথম মুসলমান এবং উম্মে আয়মান হলেন দ্বিতীয় মুসলমান। হযরত উম্মে আয়মানের সন্তান হযরত উসামা (রাঃ)কে আল্লাহর নবী অত্যন্ত ভালবাসতেন। ‘আল কাসওয়া’ নামক উটের পিঠে উসমাকে চড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রিয় নবী (সাঃ) ঘুরে বেড়াতেন, কেউ পরিচয় জিজ্ঞেস করলে নবীজি জবাব দিতেন এ আমার ছোট ভাই উসামা। জনগণ বলতেন হে নবী! আমরাতো জানতাম আপনার কোন ভাই নেই। উত্তরে নবী (সাঃ) বলতেন, হ্যাঁ তোমাদের কথাও ঠিক। উম্মে আয়মান আমার মাতৃস্থানীয় আর তার গর্ভজাত সন্তান আমার ভাই। নবী পরিবারের সাথে উম্মে আয়মানও মদিনায় হিজরত করেছিলেন। ওহুদ যুদ্ধের সময় উম্মে আয়মান পানির মশক পিঠে নিয়ে পিপাসার্ত মুসলিম মুজাহিদদের পানি পান করাতেন। মুসলিম সৈন্যগণ যখন ছত্রভঙ্গ হয়েছিলেন তখন উম্মে আয়মান পালন করেছিলেন সাহসী এক সৈনিকের ভূমিকা। ওহুদের যুদ্ধে হযরত উম্মে আয়মানের শরীরে ২৬টি তীরের এবং চারটি তলোয়ারের আঘাত লেগেছিল। এরপর থেকে ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধে উম্মে আয়মান (রাঃ) সেবিকা হিসাবে যেতেন। বায়তুল মাল থেকে প্রিয় নবী (সাঃ)-এর পরিবারবর্গ যে ভাতা পেতেন সদস্যা হিসাবে উম্মে আয়মানকেও এক অংশ দিতেন।
বিদায় হজ্বের সময়ও হযরত উম্মে আয়মান প্রিয় নবী (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। মক্কা বিজয়ের সময় বালকপুত্র উসামাকে নবীজীর (সাঃ) খাদেম হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। একজনে বলেছিলেন তোমার একমাত্র পুত্র যদি কাফেরদের হাতে শহীদ হয়? উত্তেজিত কণ্ঠে হযরত উম্মে আয়মান জবাব দিলেন," আল্লাহর ইচ্ছা হলে শহীদ হবে, তাতে তোমার আমার কি করার আছে? আল্লাহ যদি আমাকে একটি সন্তান না দিয়ে এক হাজার সন্তান দিতেন, তাহলে প্রতিটি সন্তান আল্লাহ ও তার রাসূলের পথে কোরবান করে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।"
হযরত হাসান (রাঃ) এর খেলাফতকালে পবিত্র জুমুআর দিন রাতে নিজ ঘরে পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াতরত অবস্থায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যান। ইন্তেকালের সময় তার বসয় হয়েছিল ১০৫ বছর। জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয়।
প্রিয় নবী (সাঃ) এর পিতা আব্দুল্লাহ সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে ফেরার পথে দোমাতুল জন্দন থেকে ৮০ দিনারে ক্রয় করে আনেন উম্মে আয়মানকে। এর এক বছর পর বিবি আমেনার সাথে আবদুল্লার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর স্বামী আবদুল্লাহ উম্মে আয়মানকে দাসী হিসাবে বিবি আমেনার কাছে সোপর্দ করেন। দাসীর খেদমতে বিবি আমেনা অত্যন্ত খুশি হয়ে তাকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে দেন। আমেনা বললেন, "আয়মান, তুমি তো এখন আযাদ। যেখানে ইচ্ছা তুমি চলে যেতে পার।" তিনি জবাব দিলেন, "এমন দয়ালু মনিব ছেড়ে যাবই বা কোথায়? এই পৃথিবী আমার অপরিচিত। তাছাড়া দস্যুর কবলে পড়ে আমার পিতা-মাতা নিরুদ্দেশ। বাইরে বের হলে আবার আর একজন দাসী হিসাবে ব্যবহার করবে। আমি যাবো না। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন আপনার সেবিকা হিসাবেই থাকতে চাই।" আবদুল্লাহ অত্যন্ত খুশি হলেন আয়মানের কথা শুনে এবং বললেন, "বেশ তো তোমার মন চাইলে তুমি থাকতে পার।" উম্মে আয়মান (রাঃ) সেদিন থেকে নবী পরিবারের সদস্যা হিসাবে বসবাস শুরু করেন। বিবি আমেনা উম্মে আয়মানকে ছোটবোন হিসাবেই দেখতেন। প্রিয় নবী (সাঃ) এর পিতা আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ছয় বছর পর মা আমেনা যখন স্বামীর কবর জিয়ারতের ইচ্ছা করেন তখন আব্দুল মোত্তালিব তার সঙ্গিনী হিসাবে উম্মে আয়মানকেও সাথে পাঠালেন। বিবি আমেনার ইন্তেকালের পর শিশু নবীকে তার দাদার কাছে পৌঁছে দেন উম্মে আয়মান। তার সেবা-যত্নে প্রিয় নবী (সাঃ) শৈশব ও কৈশোর জীবন পেরিয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেন। প্রিয় নবী (সাঃ) এর ২৫ বছর বয়সে যখন বিবি খাদিজার সাথে বিয়ে হয়েছিল তখনও উম্মে আয়মান মায়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত উম্মে আয়মানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। মাতৃভক্তির চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে গিয়েছেন প্রিয় নবী (সাঃ)।
তিনি তার পালিত পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসার সাথে উম্মে আয়মানের বিবাহ দিয়ে ছিলেন। চল্লিশ বছর বয়সে প্রিয় নবী (সাঃ) নবুয়াত লাভের পর হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) প্রথম মুসলমান এবং উম্মে আয়মান হলেন দ্বিতীয় মুসলমান। হযরত উম্মে আয়মানের সন্তান হযরত উসামা (রাঃ)কে আল্লাহর নবী অত্যন্ত ভালবাসতেন। ‘আল কাসওয়া’ নামক উটের পিঠে উসমাকে চড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রিয় নবী (সাঃ) ঘুরে বেড়াতেন, কেউ পরিচয় জিজ্ঞেস করলে নবীজি জবাব দিতেন এ আমার ছোট ভাই উসামা। জনগণ বলতেন হে নবী! আমরাতো জানতাম আপনার কোন ভাই নেই। উত্তরে নবী (সাঃ) বলতেন, হ্যাঁ তোমাদের কথাও ঠিক। উম্মে আয়মান আমার মাতৃস্থানীয় আর তার গর্ভজাত সন্তান আমার ভাই। নবী পরিবারের সাথে উম্মে আয়মানও মদিনায় হিজরত করেছিলেন। ওহুদ যুদ্ধের সময় উম্মে আয়মান পানির মশক পিঠে নিয়ে পিপাসার্ত মুসলিম মুজাহিদদের পানি পান করাতেন। মুসলিম সৈন্যগণ যখন ছত্রভঙ্গ হয়েছিলেন তখন উম্মে আয়মান পালন করেছিলেন সাহসী এক সৈনিকের ভূমিকা। ওহুদের যুদ্ধে হযরত উম্মে আয়মানের শরীরে ২৬টি তীরের এবং চারটি তলোয়ারের আঘাত লেগেছিল। এরপর থেকে ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধে উম্মে আয়মান (রাঃ) সেবিকা হিসাবে যেতেন। বায়তুল মাল থেকে প্রিয় নবী (সাঃ)-এর পরিবারবর্গ যে ভাতা পেতেন সদস্যা হিসাবে উম্মে আয়মানকেও এক অংশ দিতেন।
বিদায় হজ্বের সময়ও হযরত উম্মে আয়মান প্রিয় নবী (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। মক্কা বিজয়ের সময় বালকপুত্র উসামাকে নবীজীর (সাঃ) খাদেম হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। একজনে বলেছিলেন তোমার একমাত্র পুত্র যদি কাফেরদের হাতে শহীদ হয়? উত্তেজিত কণ্ঠে হযরত উম্মে আয়মান জবাব দিলেন," আল্লাহর ইচ্ছা হলে শহীদ হবে, তাতে তোমার আমার কি করার আছে? আল্লাহ যদি আমাকে একটি সন্তান না দিয়ে এক হাজার সন্তান দিতেন, তাহলে প্রতিটি সন্তান আল্লাহ ও তার রাসূলের পথে কোরবান করে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।"
হযরত হাসান (রাঃ) এর খেলাফতকালে পবিত্র জুমুআর দিন রাতে নিজ ঘরে পবিত্র কুরআনের সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াতরত অবস্থায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যান। ইন্তেকালের সময় তার বসয় হয়েছিল ১০৫ বছর। জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)