1. Give thanks to Allâh:
And indeed We bestowed upon Luqmân Al¬Hikmah (wisdom and religious understanding, etc.) saying: "Give thanks to Allâh," and whoever gives thanks, he gives thanks for (the good of) his ownself. And whoever is unthankful, then verily, Allâh is All¬Rich (Free of all wants), Worthy of all praise. (31:12).
2. Join not in worship others with Allâh:
And (remember) when Luqmân said to his son when he was advising him: "O my son! Join not in worship others with Allâh. Verily! Joining others in worship with Allâh is a great Zûlm (wrong) indeed. (31:13).
3. Be good to your parents:
And We have enjoined on man (to be dutiful and good) to his parents. His mother bore him in weakness and hardship upon weakness and hardship, and his weaning is in two years give thanks to Me and to your parents, unto Me is the final destination.
But if they (both) strive with you to make you join in worship with Me others that of which you have no knowledge, then obey them not, but behave with them in the world kindly, and follow the path of him who turns to Me in repentance and in obedience. Then to Me will be your return, and I shall tell you what you used to do. (31:14,15).
4. Allah is well aware of your deeds, so beware:
"O my son! If it be (anything) equal to the weight of a grain of mustard seed, and though it be in a rock, or in the heavens or in the earth, Allâh will bring it forth. Verily, Allâh is Subtle (in bringing out that grain), Well¬Aware (of its place). (31:16).
5. Enjoin what is good and forbid what is evil:
"O my son! Aqim¬is¬Salât (perform As¬Salât), enjoin (people) for Al¬Ma'rûf (Islâmic Monotheism and all that is good), and forbid (people) from Al¬Munkar (i.e. disbelief in the Oneness of Allâh, polytheism of all kinds and all that is evil and bad), and bear with patience whatever befall you. Verily! These are some of the important commandments ordered by Allâh with no exemption. (31:17).
6. be Kind to people:
"And turn not your face away from men with pride, nor walk in insolence through the earth. Verily, Allâh likes not each arrogant boaster. (31:18).
7. Be Moderate:
"And be moderate (or show no insolence) in your walking, and lower your voice. Verily, the harshest of all voices is the voice (braying) of the ass." (31:19).
8. Do not follow the footsteps of satan:
And when it is said to them: "Follow that which Allâh has sent down", they say: "Nay, we shall follow that which we found our fathers (following)." (Would they do so) even if Shaitân (Satan) invites them to the torment of the Fire. (31:21).
9. Remeber Allah and the last day:
O mankind! Be afraid of your Lord (by keeping your duty to Him and avoiding all evil), and fear a Day when no father can avail aught for his son, nor a son avail aught for his father. Verily, the Promise of Allâh is true, let not then this (worldly) present life deceive you, nor let the chief deceiver (Satan) deceive you about Allâh. (31:33).
10. Do not waste your time:
Verily, Allâh! With Him (Alone) is the knowledge of the Hour, He sends down the rain, and knows that which is in the wombs. No person knows what he will earn tomorrow, and no person knows in what land he will die. Verily, Allâh is All¬Knower, All¬Aware (of things). (31:34).
Tuesday, November 3, 2009
BE A MU’MIN
"Strange is the affair of the Mu'min (the believer). Verily, all his affairs are good for him. If something pleasing befalls him he thanks (Allah) and it becomes better for him. And if something harmful befalls him he is patient (saabir) and it becomes better for him. And this is only for the Mu'min." [Hadith]
Strange indeed are believers, it’s as if they are always looking up at the sky and when the rain comes down they express joy while remaining firm on the truth i.e. by being grateful (and not arrogant) to the Most Merciful.
And when there is no rain they still look up at the sky and remain firm on the truth (i.e. patient) believing that ‘Indeed! Nothing bad comes from Allah’ and if this is what Allah the Most Wise has decreed then certainly His Decree is engulfed with His Wisdom.
Strange indeed are believers, it’s as if they are always looking up at the sky and when the rain comes down they express joy while remaining firm on the truth i.e. by being grateful (and not arrogant) to the Most Merciful.
And when there is no rain they still look up at the sky and remain firm on the truth (i.e. patient) believing that ‘Indeed! Nothing bad comes from Allah’ and if this is what Allah the Most Wise has decreed then certainly His Decree is engulfed with His Wisdom.
Saturday, October 31, 2009
সকলের কাছে প্রিয়ভাষী হওয়ার উপায়
যারা সুভাষী, তারা সুভাষী হন তাদের ভাষা শৈলীতে, বাকশক্তিতে, বাচনক্ষমতায়, বাচনভংগিতে, শব্দ চয়নের দক্ষতায়, উচ্চারণ ভংগির বিশুদ্ধতায়, কথার সহজতায় এবং ভাষার সরলতায়। আপনি কি সুভাষী হতে চান? হতে চান কি প্রিয়ভাষী? তবে :
১. সোজা কথা বলুন। বাঁকা কথা বলবেন না। পেঁচালো কথা বলবেন না।
২. সহ্জ করে কথা বলুন। ভাষার ও কথার জটিলতা পরিহার করুন।
৩. সুন্দর করে কথা বলুন। সব রকমের অসুন্দর ও মন্দকথা পরিহার করুন।
৪. হাসি মুখে কথা বলুন। প্রিয় নবী বলেছেন : “ তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে কথা বলা একটি দান।”
৫. কোমল ভাষায় কথা বলুন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীকে বলেন : “ এটা আল্লাহরই দয়া যে, তুমি তাদের ( তোমার সাথীদের ) প্রতি কোমল। তা না হয়ে তুমি যদি তাদের প্রতি কঠোর হতে, তাহলে তারা তোমার নিকট থেকে সিটকে পড়তো। ” ( আল কুরআন ৩: ১৫৯)
৬. সুন্দর সুন্দর শব্দ চয়ন করুন। মাতৃভাষাকে ভালোভাবে জানুন। শব্দ ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ হোন। কথার মাঝে সুন্দর সুন্দর শব্দ প্রয়োগ করেন।
৭. হিতকথা বলুন। শ্রোতার কল্যাণের কথা বলুন, তার উপকারের কথা বলুন।
৮. স্পষ্ট ভাবে কথা বলুন। কথার জড়তা পরিহার করুন। মূসা (আঃ) আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন : “প্রভু । আমার ভাষার জড়তা দুর করে দাও, যাতে তারা আমার কথা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে। ” ( আল কুরআন ২০ : ২৫ - ২৮)
৯. বিশুদ্ধ কথা বলুন। অশুদ্ধ ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ করবেন না।
১০. প্রশংসা করুন। লোকদের কৃতিত্ব ও অবদানের জন্যে তাদের প্রশংসা করুন। তোয়াজ ও চাটুকারিতা করবেন না।
১১. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যে আপনার উপকার করেছে, তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন : “ যে ব্যক্তি মানুষের কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয় না।” ( আবু দাউদ )
১২. উপদেশ দিন। পরামর্শ দিন।
১৩. পরামর্শ নিন। আপনার ব্যাপারে শ্রোতার কোনো কথা, কোনো পরামর্শ আছে কিনা তা জানতে চান। পরামর্শ দানের জন্যে কৃতজ্ঞতা জানান।
১৪. শ্রোতার জন্যে দু’আ করুন। আপনার শুভ কামনার কথা তাকে বলুন।
১৫. সদালাপী ও মিষ্টভাষী হোন।
১৬. বিতর্ক পরিহার করুন। যুক্তি সংগত কথা বলূন।
১৭. বলুন কম, শুনুন বেশি।
১৮. অর্থবহ কথা বলুন, অর্থহীন বাজে কথা বলবেন না।
১৯. একজনের কাছে আরেকজনের নিন্দা করবেন না। পেছনে কেবল প্রশংসাই করবেন, নিন্দা নয়।
২০. শ্রোতাকে কখনো বিদ্রূপ, উপহাস, ঠাট্টা ও তিরস্কার করবেন না।
২১. কখনো কটুকথা বলবেন না।
২২. বেশী কথা ও অনর্গল কথা বলা বর্জন করুন।
২৩. গালি দেবেন না, অশ্লীল কথা বলবেন না। ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করুন।
২৪. পজেটিভ কথা বলুন । নেগেটিভ কথা পরিহার করুন।
২৫. রুক্ষ্ম, কর্কশ ও কড়া কথা পরিহার করুন।
২৬. মিথ্যা বলবেন না, অপবাদ দেবেন না, বেশি বেশি শপথ করবেন না।
২৭. ছিদ্রান্বেষণ করবেন না, কারো দোষ খুঁজে বের করবেন না।
২৮. চেঁচামেচি ও তর্জন গর্জন বর্জন করুন।
আসুন, আমরা কথার ধরন পাল্টে ফেলি। কথাকে শুদ্ধ ও মানানসই করি। কথাকে সুন্দর চমৎকার ও আকর্ষণীয় করি।
১. সোজা কথা বলুন। বাঁকা কথা বলবেন না। পেঁচালো কথা বলবেন না।
২. সহ্জ করে কথা বলুন। ভাষার ও কথার জটিলতা পরিহার করুন।
৩. সুন্দর করে কথা বলুন। সব রকমের অসুন্দর ও মন্দকথা পরিহার করুন।
৪. হাসি মুখে কথা বলুন। প্রিয় নবী বলেছেন : “ তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে কথা বলা একটি দান।”
৫. কোমল ভাষায় কথা বলুন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীকে বলেন : “ এটা আল্লাহরই দয়া যে, তুমি তাদের ( তোমার সাথীদের ) প্রতি কোমল। তা না হয়ে তুমি যদি তাদের প্রতি কঠোর হতে, তাহলে তারা তোমার নিকট থেকে সিটকে পড়তো। ” ( আল কুরআন ৩: ১৫৯)
৬. সুন্দর সুন্দর শব্দ চয়ন করুন। মাতৃভাষাকে ভালোভাবে জানুন। শব্দ ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ হোন। কথার মাঝে সুন্দর সুন্দর শব্দ প্রয়োগ করেন।
৭. হিতকথা বলুন। শ্রোতার কল্যাণের কথা বলুন, তার উপকারের কথা বলুন।
৮. স্পষ্ট ভাবে কথা বলুন। কথার জড়তা পরিহার করুন। মূসা (আঃ) আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন : “প্রভু । আমার ভাষার জড়তা দুর করে দাও, যাতে তারা আমার কথা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে। ” ( আল কুরআন ২০ : ২৫ - ২৮)
৯. বিশুদ্ধ কথা বলুন। অশুদ্ধ ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ করবেন না।
১০. প্রশংসা করুন। লোকদের কৃতিত্ব ও অবদানের জন্যে তাদের প্রশংসা করুন। তোয়াজ ও চাটুকারিতা করবেন না।
১১. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যে আপনার উপকার করেছে, তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন : “ যে ব্যক্তি মানুষের কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয় না।” ( আবু দাউদ )
১২. উপদেশ দিন। পরামর্শ দিন।
১৩. পরামর্শ নিন। আপনার ব্যাপারে শ্রোতার কোনো কথা, কোনো পরামর্শ আছে কিনা তা জানতে চান। পরামর্শ দানের জন্যে কৃতজ্ঞতা জানান।
১৪. শ্রোতার জন্যে দু’আ করুন। আপনার শুভ কামনার কথা তাকে বলুন।
১৫. সদালাপী ও মিষ্টভাষী হোন।
১৬. বিতর্ক পরিহার করুন। যুক্তি সংগত কথা বলূন।
১৭. বলুন কম, শুনুন বেশি।
১৮. অর্থবহ কথা বলুন, অর্থহীন বাজে কথা বলবেন না।
১৯. একজনের কাছে আরেকজনের নিন্দা করবেন না। পেছনে কেবল প্রশংসাই করবেন, নিন্দা নয়।
২০. শ্রোতাকে কখনো বিদ্রূপ, উপহাস, ঠাট্টা ও তিরস্কার করবেন না।
২১. কখনো কটুকথা বলবেন না।
২২. বেশী কথা ও অনর্গল কথা বলা বর্জন করুন।
২৩. গালি দেবেন না, অশ্লীল কথা বলবেন না। ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করুন।
২৪. পজেটিভ কথা বলুন । নেগেটিভ কথা পরিহার করুন।
২৫. রুক্ষ্ম, কর্কশ ও কড়া কথা পরিহার করুন।
২৬. মিথ্যা বলবেন না, অপবাদ দেবেন না, বেশি বেশি শপথ করবেন না।
২৭. ছিদ্রান্বেষণ করবেন না, কারো দোষ খুঁজে বের করবেন না।
২৮. চেঁচামেচি ও তর্জন গর্জন বর্জন করুন।
আসুন, আমরা কথার ধরন পাল্টে ফেলি। কথাকে শুদ্ধ ও মানানসই করি। কথাকে সুন্দর চমৎকার ও আকর্ষণীয় করি।
Thursday, October 29, 2009
When you pray, let it be the prayer of one bidding farewell
We should try to depart from the world in the very best of states. Each time we pray, we should think to ourselves that this could be our final prayer. Therefore, it could well be the last gift that we will present to Allah from this world. Will it be precious and priceless, or will it be base and cheap?
Imagine that your death has occurred. Imagine the people throwing dust on your grave. Imagine that you are lying in your grave. Imagine being resurrected and brought forth to the place of great gathering. Imagine your account being read. Such imaginations will help to imprint the reality of death and realities associated with the afterlife on your heart. A lot of Muslims do not think about these things and they become very distant and abstract. For this reason reflection on reality of death is one of the most important aspects of our religion Islam. Allah says in the Quran, “Say, the death you are fleeting from will surely meet you…” (62:7)
Imagine that your death has occurred. Imagine the people throwing dust on your grave. Imagine that you are lying in your grave. Imagine being resurrected and brought forth to the place of great gathering. Imagine your account being read. Such imaginations will help to imprint the reality of death and realities associated with the afterlife on your heart. A lot of Muslims do not think about these things and they become very distant and abstract. For this reason reflection on reality of death is one of the most important aspects of our religion Islam. Allah says in the Quran, “Say, the death you are fleeting from will surely meet you…” (62:7)
ইসলামে জ্ঞানচর্চা
আমরা অনেকেই আমাদের অজ্ঞতাবশত মিত্যাযুক্তির উপরে ভিত্তি করে অনেক বিষয় নিয়ে বির্তক করে থাকি। কোন বিষয়ে সুস্পষ্ট, সত্যনির্ভর জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ের বিতর্ক বা আলোচনা করা চলে না। তাই প্রকৃত সত্য জানতে হলে অবশ্যই আমাদের জ্ঞানচর্চার দরকার। জ্ঞান মানুষকে আলোর পথ দেখায় আর মুর্খতা অন্ধকারের। জ্ঞান মানুষের একটা শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মানুষ পশুত্বের স্তর থেকে মনুষত্বের স্তরে উঠে আসতে পারে সত্যিকার জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে।
জ্ঞান অন্বেষনের ফলে মানুষের বিশ্বাসের ভীত মজবুত হয় এবং সে প্রকৃত চিন্তাশীল হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা অতি গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম। ইসলামে এ কারনেই বিদ্যা অর্জনকে ফরজ ঘোষনা করেছে। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন-‘বিদ্যা অম্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে সুপথে পরিচালিত করার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রসূল পাঠিয়েছেন। জিব্রাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে নবী-রাসূলদের কাছে আল্লাহর বাণী তথা কিতাব এসেছে। এই কিতাবের সাহায্যে মানুষকে শিক্ষাদানের কাজটা ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। মহান আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব হলো আল-কোরআন। এই আল-কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ বাণী হলো ‘ইক্রা বিইসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক...’ অর্থাৎ, পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন; সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। (সূরা আলাক, আয়াতঃ ১-২) এখানে শিক্ষার আহবান যেমন জানানো হয়েছে তেমনি আল্লাহর সৃষ্টিকৌশল নিয়েও ভাবতে বলা হয়েছে।
পড়ার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর সেই জ্ঞান দ্বারা সে ন্যায়-অন্যায় বুঝতে পারে। তাই জ্ঞান অর্জনের তাগিদ নিয়ে আল-কোরআনে অসংখ্য বাণী অবতীর্ণ হয়েছে।-“আর যে ব্যক্তি ইহলোকে (জ্ঞানার্জনে) অন্ধ ছিল, সে পরকালেও অন্ধ থাকবে এবং পথ হতে আরও বিচ্যুত হবে।”(সূরা বনী ইসলাইল, আয়াতঃ ৭২)। জ্ঞানী ব্যক্তিদের সর্বত্র উচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে আল কোরআনে বলা হয়েছে-“বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা জ্ঞানবান”। (সূরা যুমার আয়াতঃ৯)
জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা, উপলব্ধি করা ও উদঘাটন করা যায়। মানুষের ভাগ্যে আল্লাহর অবদানের শ্রেষ্ঠ দান হলো জ্ঞান। কিন্তু এই জ্ঞানকে কাজে না লাগালে তার কোনো মূল্যই থাকে না। হযরত আলী (রাঃ) বলেন-“বিদ্বান ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো গৌরবের কিছু নেই। কেননা তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং সঠিক পথের অনুসন্ধানকারীদের জন্য পথ-প্রদর্শক। আর মানুষের মূল্য বিদ্যার দ্বারাই হয়, যা তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। অপর দিকে মূর্খ লোকেরা বিদ্বানদের শত্রুসমতুল্য। তাই তুমি বিদ্যার্জনে সচেষ্ট হও এবং তার প্রতিদান চেও না। কেননা মানুষ মৃত আর বিদ্বানেরা চিরঞ্জীব।”
জ্ঞানদান শ্রেষ্ঠতম দান। ইসলাম জ্ঞান অর্জন করতে যেমন উৎসাহ দিয়েছে, তদ্রূপ জ্ঞান বিতরণ করতেও কখানো পিছপা হয়নি। মহানবী (সাঃ) ছিলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তাঁর থেকে সাহাবীরা শিক্ষা গ্রহণ করে পৃথিবীর দিকবিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। কোরআন এমন একটি আসমানী মহাগ্রন্থ, যা মানবজাতির জ্ঞানের সকল তৃষ্ণাকে মেটাতে পারে। অতএব, কোরআন থেকে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের বহু জটিল সমস্যার সমাধান পেতে পারি, এ ছাড়া একটি উন্নত ও কল্যাণমুখী সমাজ ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে পারি। মোট কথা, কোরআনের প্রথম আহবান ‘ইকরা’-এর প্রতি সাড়া দিয়ে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব এবং সমাজের সর্বস্তরে তা বিতরণ করব। মহান আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দিন, আমিন।
জ্ঞান অন্বেষনের ফলে মানুষের বিশ্বাসের ভীত মজবুত হয় এবং সে প্রকৃত চিন্তাশীল হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা অতি গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম। ইসলামে এ কারনেই বিদ্যা অর্জনকে ফরজ ঘোষনা করেছে। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন-‘বিদ্যা অম্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে সুপথে পরিচালিত করার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রসূল পাঠিয়েছেন। জিব্রাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে নবী-রাসূলদের কাছে আল্লাহর বাণী তথা কিতাব এসেছে। এই কিতাবের সাহায্যে মানুষকে শিক্ষাদানের কাজটা ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। মহান আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব হলো আল-কোরআন। এই আল-কোরআনের প্রথম অবতীর্ণ বাণী হলো ‘ইক্রা বিইসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক...’ অর্থাৎ, পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন; সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। (সূরা আলাক, আয়াতঃ ১-২) এখানে শিক্ষার আহবান যেমন জানানো হয়েছে তেমনি আল্লাহর সৃষ্টিকৌশল নিয়েও ভাবতে বলা হয়েছে।
পড়ার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর সেই জ্ঞান দ্বারা সে ন্যায়-অন্যায় বুঝতে পারে। তাই জ্ঞান অর্জনের তাগিদ নিয়ে আল-কোরআনে অসংখ্য বাণী অবতীর্ণ হয়েছে।-“আর যে ব্যক্তি ইহলোকে (জ্ঞানার্জনে) অন্ধ ছিল, সে পরকালেও অন্ধ থাকবে এবং পথ হতে আরও বিচ্যুত হবে।”(সূরা বনী ইসলাইল, আয়াতঃ ৭২)। জ্ঞানী ব্যক্তিদের সর্বত্র উচ্চ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে আল কোরআনে বলা হয়েছে-“বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা জ্ঞানবান”। (সূরা যুমার আয়াতঃ৯)
জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা, উপলব্ধি করা ও উদঘাটন করা যায়। মানুষের ভাগ্যে আল্লাহর অবদানের শ্রেষ্ঠ দান হলো জ্ঞান। কিন্তু এই জ্ঞানকে কাজে না লাগালে তার কোনো মূল্যই থাকে না। হযরত আলী (রাঃ) বলেন-“বিদ্বান ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো গৌরবের কিছু নেই। কেননা তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং সঠিক পথের অনুসন্ধানকারীদের জন্য পথ-প্রদর্শক। আর মানুষের মূল্য বিদ্যার দ্বারাই হয়, যা তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। অপর দিকে মূর্খ লোকেরা বিদ্বানদের শত্রুসমতুল্য। তাই তুমি বিদ্যার্জনে সচেষ্ট হও এবং তার প্রতিদান চেও না। কেননা মানুষ মৃত আর বিদ্বানেরা চিরঞ্জীব।”
জ্ঞানদান শ্রেষ্ঠতম দান। ইসলাম জ্ঞান অর্জন করতে যেমন উৎসাহ দিয়েছে, তদ্রূপ জ্ঞান বিতরণ করতেও কখানো পিছপা হয়নি। মহানবী (সাঃ) ছিলেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তাঁর থেকে সাহাবীরা শিক্ষা গ্রহণ করে পৃথিবীর দিকবিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। কোরআন এমন একটি আসমানী মহাগ্রন্থ, যা মানবজাতির জ্ঞানের সকল তৃষ্ণাকে মেটাতে পারে। অতএব, কোরআন থেকে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের বহু জটিল সমস্যার সমাধান পেতে পারি, এ ছাড়া একটি উন্নত ও কল্যাণমুখী সমাজ ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে পারি। মোট কথা, কোরআনের প্রথম আহবান ‘ইকরা’-এর প্রতি সাড়া দিয়ে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব এবং সমাজের সর্বস্তরে তা বিতরণ করব। মহান আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দিন, আমিন।
পরিবর্তন
“বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ” সেই ছোট্টবেলা থেকেই জেনেছি কিন্তু বাস্তবে তিনটি ঋতু অনুভব করেছি মাত্র। গ্রীষ্মকাল (প্রচন্ড গরম), বর্ষাকাল (খুব বৃষ্টি) আর শীতকাল (অল্প কিছুদিন) । শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত এলেও তা অনুভূত হয় খুব কম সময়। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের পর্যায়গুলো বেশী বুঝেছি ক্যানাডা আসার পর। এই দেশে চারটি ঋতু। Spring(বসন্ত), Summer(গ্রীষ্ম), Fall or Autumn(শরৎ) এবং Winter(শীত)। বসন্তে গাছে গাছে কচি সবুজ পাতা জানিয়ে দেয় শীতের তীব্রতাকে বিদায় জানানোর ঘন্টা। ধীরে ধীরে গ্রীষ্মের ঝলমলে রোদে সেই নতুন কচিপাতা পুর্নতা পেয়ে গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করে। গ্রীষ্মের খড়তার পর শরতের স্নিগ্ধতায় গাছের পাতাগুলো সেজে উঠে লাল, কমলা, হলুদ রঙ্গের অপরূপ সাজে। তারপর হাড়কাঁপানো শীতে পাতাগুলো ঝরে গাছগুলো হয়ে যায় নগ্ন। আহা! দেখলে মনে হয় গাছগুলোতে যেনো কোন দিন পাতাই ছিল না। চারিদিকে তখন শুধুই সাদা রঙ্গের বরফ। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। কবে শীত চলে যাবে, কবে বসন্ত আসবে আবার কবে গাছগুলো হেসে উঠবে সবুজের বাহারে?














Location: Toronto, Ontario, Canada
Location: Toronto, Ontario, Canada
পবিত্র শবে-ই-মিরাজের তাৎপর্য
মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তাঁর মক্কা জীবনের শেষ দিকে। তিনি জেগে থাকা অবস্থায় সশরীরে ‘বোরাক’ নামের বাহনে মক্কা মুকাররমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস গিয়েছিলেন এবং সেখানে সব নবী-রাসূলের ইমাম হয়ে নামাজ আদায় করে সশরীরে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। আল কুরআনের পাশাপাশি বহুসংখ্যক বিশুদ্ধ হাদিসেও মিরাজের ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
মিরাজ শব্দের অর্থ হলো ঊর্ধ্বালোকে আরোহণ বা পরিভ্রমণ করা। মিরাজের আসলে দু’টি অংশ রয়েছে: এক. ইসরা ও দুই. মিরাজ। ইসরা অর্থ নৈশভ্রমণ। মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা বলা হয়। আল কুরআনে আল্লাহ বলেছেন : “মহিমান্বিত আল্লাহ্ , যিনি তাঁর বান্দাকে (মোহাম্মাদ (সাঃ)) রজনীতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন, পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম থেকে দূরবর্তী মসজিদ মসজিদুল আকসা পর্যন্ত । যার সীমানাকে আমি করেছিলাম আমার আর্শীবাদ ধন্য, যেনো আমি তাঁকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই একমাত্র যিনি সব শোনেন এবং দেখেন।”(সূরা বনী ইসলাইল : ১)। আর মিরাজ এর অর্থ ওপরে উঠার সিঁড়ি বা সোপান। মসজিদুল আকসা থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণকে মিরাজ বলা হয়। কুরআনে আল্লাহপাক আরো বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি (মোহাম্মদ (সাঃ)) তাকে (জিবরাইল (আঃ)) কে আরেকবার দেখেছিলেন সিদরাতুল মুনতাহার কাছে। যার কাছে অবস্খিত জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার তদ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। তার দৃষ্টিবিভ্রম হয়নি এবং সীমালঙ্ঘনও হয়নি। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলি অবলোকন করেছেন।’ (সূরা আননাজম : ১৩-১৮)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর জীবনে ‘মিরাজ’ এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যে সময়টি ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে দুর্যোগময় মুহূর্ত। কুরাইশদের দ্বারা মহানবী (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সামাজিকভাবে বয়কট, প্রিয় স্ত্রী হজরত খাদিজা (রাঃ) ও একমাত্র অভিভাবক চাচা আবু তালিবের ইন্তেকাল, তায়েফবাসীর লাঞ্ছনা প্রিয় মহানবীকে মানসিকভাবে মর্মাহত করে । আর এমনই সময়ে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এলো মিরাজের। মিরাজের রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বন্ধুকে একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে আসেন। আল্লাহ রাসূল (সাঃ)কে ইসলামের বাস্তবায়ন রূপরেখা, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা এবং মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ামতস্বরূপ দান করেন। সে জন্য বলা হয়েছে, ‘আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনিন’ নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজস্বরূপ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে মহানবী (সাঃ)এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাজই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়াই আল্লাহতায়ালা সরাসরি মহানবী (সাঃ)এর ওপর ফরজ করেছেন।
কুরআন ও সহীহ হাদিসের অকাট্য তথ্য একজন মুসলমান মানতে বাধ্য। একজন খাঁটি মুসলমানের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মিরাজের সত্যতা প্রমানের অপেক্ষা না করে এ বিষয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস স্খাপন করার নামই ঈমান। তাই রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মিরাজ গমনের কথা একজন অবিশ্বাসীর মুখে শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) তৎক্ষণাৎ বিশ্বাস করেছিলেন বলেই রাসূল (সাঃ) তাঁকে ‘সিদ্দিক’ উপাধি দিয়েছিলেন। মিরাজের মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) কে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা দান করা হয়, যেনো মানুষ আল্লাহর নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে এবং স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারে।
পরিশেষে, প্রিয়নবী (সাঃ) এর স্বচক্ষে দেখা মিরাজের ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলামের পথে চলাই হোক একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের অঙ্গীকার।
মিরাজ শব্দের অর্থ হলো ঊর্ধ্বালোকে আরোহণ বা পরিভ্রমণ করা। মিরাজের আসলে দু’টি অংশ রয়েছে: এক. ইসরা ও দুই. মিরাজ। ইসরা অর্থ নৈশভ্রমণ। মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে ইসরা বলা হয়। আল কুরআনে আল্লাহ বলেছেন : “মহিমান্বিত আল্লাহ্ , যিনি তাঁর বান্দাকে (মোহাম্মাদ (সাঃ)) রজনীতে ভ্রমণ করিয়েছিলেন, পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম থেকে দূরবর্তী মসজিদ মসজিদুল আকসা পর্যন্ত । যার সীমানাকে আমি করেছিলাম আমার আর্শীবাদ ধন্য, যেনো আমি তাঁকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই একমাত্র যিনি সব শোনেন এবং দেখেন।”(সূরা বনী ইসলাইল : ১)। আর মিরাজ এর অর্থ ওপরে উঠার সিঁড়ি বা সোপান। মসজিদুল আকসা থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণকে মিরাজ বলা হয়। কুরআনে আল্লাহপাক আরো বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি (মোহাম্মদ (সাঃ)) তাকে (জিবরাইল (আঃ)) কে আরেকবার দেখেছিলেন সিদরাতুল মুনতাহার কাছে। যার কাছে অবস্খিত জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার তদ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। তার দৃষ্টিবিভ্রম হয়নি এবং সীমালঙ্ঘনও হয়নি। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলি অবলোকন করেছেন।’ (সূরা আননাজম : ১৩-১৮)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর জীবনে ‘মিরাজ’ এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যে সময়টি ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে দুর্যোগময় মুহূর্ত। কুরাইশদের দ্বারা মহানবী (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সামাজিকভাবে বয়কট, প্রিয় স্ত্রী হজরত খাদিজা (রাঃ) ও একমাত্র অভিভাবক চাচা আবু তালিবের ইন্তেকাল, তায়েফবাসীর লাঞ্ছনা প্রিয় মহানবীকে মানসিকভাবে মর্মাহত করে । আর এমনই সময়ে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এলো মিরাজের। মিরাজের রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বন্ধুকে একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে আসেন। আল্লাহ রাসূল (সাঃ)কে ইসলামের বাস্তবায়ন রূপরেখা, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা এবং মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ামতস্বরূপ দান করেন। সে জন্য বলা হয়েছে, ‘আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনিন’ নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজস্বরূপ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে মহানবী (সাঃ)এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাজই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়াই আল্লাহতায়ালা সরাসরি মহানবী (সাঃ)এর ওপর ফরজ করেছেন।
কুরআন ও সহীহ হাদিসের অকাট্য তথ্য একজন মুসলমান মানতে বাধ্য। একজন খাঁটি মুসলমানের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মিরাজের সত্যতা প্রমানের অপেক্ষা না করে এ বিষয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস স্খাপন করার নামই ঈমান। তাই রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মিরাজ গমনের কথা একজন অবিশ্বাসীর মুখে শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) তৎক্ষণাৎ বিশ্বাস করেছিলেন বলেই রাসূল (সাঃ) তাঁকে ‘সিদ্দিক’ উপাধি দিয়েছিলেন। মিরাজের মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) কে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা দান করা হয়, যেনো মানুষ আল্লাহর নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে এবং স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারে।
পরিশেষে, প্রিয়নবী (সাঃ) এর স্বচক্ষে দেখা মিরাজের ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ইসলামের পথে চলাই হোক একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের অঙ্গীকার।
সুরা আল-ইমরানের ১০৩ নং আয়াত এবং মুসলিম ঐক্য
সুরা আল-ইমরানের ১০৩ নং আয়াতটিতে তিনটি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে। (১) কুরআনের বিধান অক্ষরে অক্ষরে পালন করা (২) পরস্পর একতাবদ্ধ থাকা এবং কখনো বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং (৩) আল্লাহ প্রদত্ত সকল নেয়ামতের জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
পরম করুনাময় আসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
“আল্লাহ যে দড়ি [তোমাদের জন্য প্রসারিত করেছেন] তা তোমরা দৃঢ়ভাবে ধর; এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না; এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ কর। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তসীমায় ছিলে; এবং তিনি তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেন। এভাবেই আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহ তোমাদের নিকট স্পষ্ট ভাবে বিবৃত করেন যেন তোমরা সৎ পথে পরিচালিত হতে পার।” (সুরা আল-ইমরান: ১০৩)
মুসলমানদের অবস্থা ঠিক ঐ ব্যক্তিদের মতো যারা কোন উচুঁ পাহাড়ে ওঠার সময় নিশ্চিত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য শক্ত দড়ি ধারণ করে । এখানে "আল্লাহর দড়ি" বলতে বুঝানো হয়েছে আল-কুরআনকে অর্থাৎ ইসলামের বিধানকে । আল্লাহ সব মুসলমানদের এই দড়ি এক সাথে ধরতে বলেছেন এবং পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করেছেন। সত্যিকারের মুসলমানদের আল্লাহর বিধানে বিশ্বাসী হতে হবে এবং তাদের একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। কারন সম্মিলিত মুসলিম সমাজের নিরাপত্তা জোরদার হবে তখনই যখন তারা একতাবদ্ধভাবে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে সমস্ত বিপদ আপদের মোকাবেলা করবে।
একটা জাতির মধ্যে অধঃপতনের যতগুলো লক্ষণ ফুটে ওঠে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে পরস্পর বিছিন্নতা। আজ মুসলমানরা আল্লাহর সেই দড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরছে; অর্থাৎ ইসলামের বিধানকে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সমাজ জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই ব্যর্থ। তাই তাদের মধ্যে মুনাফেকী, মিথ্যাচার, প্রতারণা, অন্যায়-অত্যাচার এত প্রবল। হানাহানি, খুনোখুনি তাদের আজ ধ্বংসের প্রান্তসীমায় দাঁড় করিয়েছে। মুসলিম বিশ্বে মিথ্যা, ঘুষ, অন্যায়-অত্যাচারে আজ প্রতিদিনের জীবন বিভক্ত। ইসলামের নামে অনেক ইসলাম বিরোধী কাজকর্মের অনুপ্রবেশ ঘটছে সমাজ কাঠামোতে। যে সমাজে ন্যায় ও সত্য অনুপস্থিত, সে সমাজ কখনও আল্লাহর রহমত পেতে পারে না। একমাত্র কুরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী জীবনবোধই পারে এই ধ্বংস থেকে বাঁচাতে।
একটি ইটের সাথে আরেকটি ইট গেঁথে যেমন একটা বাড়ি বানানো যায়; তেমনি একমাত্র ইসলামের বিধানকে মেনে সকল মুসলমানের হাতে হাত মিলানোর মাধ্যমেই একটি মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ছায়াতল নির্মান সম্ভব।
পরম করুনাময় আসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
“আল্লাহ যে দড়ি [তোমাদের জন্য প্রসারিত করেছেন] তা তোমরা দৃঢ়ভাবে ধর; এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না; এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ কর। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তসীমায় ছিলে; এবং তিনি তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেন। এভাবেই আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহ তোমাদের নিকট স্পষ্ট ভাবে বিবৃত করেন যেন তোমরা সৎ পথে পরিচালিত হতে পার।” (সুরা আল-ইমরান: ১০৩)
মুসলমানদের অবস্থা ঠিক ঐ ব্যক্তিদের মতো যারা কোন উচুঁ পাহাড়ে ওঠার সময় নিশ্চিত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য শক্ত দড়ি ধারণ করে । এখানে "আল্লাহর দড়ি" বলতে বুঝানো হয়েছে আল-কুরআনকে অর্থাৎ ইসলামের বিধানকে । আল্লাহ সব মুসলমানদের এই দড়ি এক সাথে ধরতে বলেছেন এবং পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করেছেন। সত্যিকারের মুসলমানদের আল্লাহর বিধানে বিশ্বাসী হতে হবে এবং তাদের একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। কারন সম্মিলিত মুসলিম সমাজের নিরাপত্তা জোরদার হবে তখনই যখন তারা একতাবদ্ধভাবে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে সমস্ত বিপদ আপদের মোকাবেলা করবে।
একটা জাতির মধ্যে অধঃপতনের যতগুলো লক্ষণ ফুটে ওঠে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে পরস্পর বিছিন্নতা। আজ মুসলমানরা আল্লাহর সেই দড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরছে; অর্থাৎ ইসলামের বিধানকে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সমাজ জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই ব্যর্থ। তাই তাদের মধ্যে মুনাফেকী, মিথ্যাচার, প্রতারণা, অন্যায়-অত্যাচার এত প্রবল। হানাহানি, খুনোখুনি তাদের আজ ধ্বংসের প্রান্তসীমায় দাঁড় করিয়েছে। মুসলিম বিশ্বে মিথ্যা, ঘুষ, অন্যায়-অত্যাচারে আজ প্রতিদিনের জীবন বিভক্ত। ইসলামের নামে অনেক ইসলাম বিরোধী কাজকর্মের অনুপ্রবেশ ঘটছে সমাজ কাঠামোতে। যে সমাজে ন্যায় ও সত্য অনুপস্থিত, সে সমাজ কখনও আল্লাহর রহমত পেতে পারে না। একমাত্র কুরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী জীবনবোধই পারে এই ধ্বংস থেকে বাঁচাতে।
একটি ইটের সাথে আরেকটি ইট গেঁথে যেমন একটা বাড়ি বানানো যায়; তেমনি একমাত্র ইসলামের বিধানকে মেনে সকল মুসলমানের হাতে হাত মিলানোর মাধ্যমেই একটি মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ছায়াতল নির্মান সম্ভব।
Saturday, October 24, 2009
মুসলমানদের জীবনে রোজার কাঙ্খিত প্রভাব; রমজানের শিক্ষাসমূহ
রমজানের সময়কাল অনেকটা বিদ্যালয়ের মত, যে সময়টিতে শেখার মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। কোন কারণে নামাজ কাজা হয়ে গেলে আমরা তা পরবর্তীতে আদায় করে নিতে পারি, কিংবা রোজাও পরবর্তীতে রাখতে পারি, কিন্তু রমজানের সময়টি সেরকম নয়। রমজানের গুরুত্বপুর্ণ শিক্ষাগুলো অর্জন ছাড়াই যদি এ মাসটি পার হয়ে যায় তবে তা একজন মুসলমানের জীবনে বিরাট ক্ষতি।
আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা বা তাকওয়া সৃষ্টি : রোজার মূল লক্ষ্য তাকওয়া অর্থাৎ আল্লাহ ভীতি এবং তাঁর সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন। কুরআনের যে আয়াতে রোজার আদেশ দেয়া হয়েছে, সে আয়াতেই এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে: “হে বিশ্বাসীগণ। তোমাদের জন্য সিয়াম পালনকে নির্ধারণ করা হল যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা আল বাক্বারাহ, ২: ১৮৩) এ তাকওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ নৈতিক গুণগুলোর একটি, তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর ক্রোধ এবং নিজের মাঝে একটি ঢাল তৈরী করতে পারে। তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর সমস্ত আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা, তাঁর উপস্থিতির উপলব্ধি, এবং এটা জানা যে তিনি আমাদের দেখছেন যা আমাদেরকে ব্যক্তিগত জীবনে উন্নততর মানুষ হতে সাহায্য করবে।
আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করা: বিভিন্ন ধরনের ইবাদত প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সাথে আমাদের বন্ধন প্রতিষ্ঠার উপায়। রমজানে এই ইবাদতগুলো পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যেন আমরা এই মাস শেষে আল্লাহর সাথে সম্পর্কের উচ্চতর স্তরে অবস্থান করতে পারি। খাদ্য ও পানীয় দেহের পুষ্টির উৎস, মনের খোরাক হচ্ছে জ্ঞান, আর অন্তরের প্রয়োজন হচ্ছে ঈমান এবং আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা। রমজানে অধিক ইবাদতের দ্বারা আমরা ইবাদতকে আমাদের জীবনের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গ্রহণের শিক্ষা পাই। কুরআনে যেমনটি বলা হচ্ছে: “...নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার ত্যাগ, আমার জীবন-মরণ, জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।”(সূরা আল আনআম, ৬:১৬২) এরকমই হচ্ছে একজন প্রকৃত মুসলমানের জীবন। রমজানে বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য এক মাসে কুরআন খতম করা নয়। বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর বাণীর সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীরতর করা, যদি কুরআনের বাণী আমাদের অন্তরে স্থান করে নিতে পারে, তবে তা আমাদের জীবনকে আমূল পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। রমজানে বেশী করে রাতের নফল নামাজ আদায় করা, যেন রমজানের পরও তা আমাদের অভ্যাস হিসেবে থেকে যায়। তেমনি এ মাসে ধার্মিক লোকদের সাহচর্য লাভে সচেষ্ট হওয়া, রোজাদারদের সাথে বসে একসাথে ইফতার করা, এবং রোজাদারেরা একে অপরকে ইফতারের দাওয়াত দেয়া।
নিয়ন্ত্রণ: রোজা যেহেতু খাদ্য, পানীয় এবং যৌন বাসনা থেকে সংযম, তাই এর মাধ্যমে রোজাদারের আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলন হয়। আত্মিক সংযমও রোজার লক্ষ্য। কেবল খাদ্য, পানীয় ইত্যাদিই নয়, রোজাদারকে মিথ্যা বলা, গীবত করা, দুর্নাম করা ইত্যাদি থেকেও বিরত থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে রোজা অবস্থায় মিথ্যা বলা এবং মিথ্যার ওপর আচরণ করা থেকে বিরত হল না, তার ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেছেন: “তোমাদের কেউ রোজা অবস্থায় যেন অশ্লীল কাজ ও অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত থাকে, এবং যদি কেউ কোন অশ্লীল কথা শুরু করে কিংবা তর্ক করতে আসে, তবে সে যেন তাকে বলে: “আমি রোজাদার।” তাই উপরোক্ত দিক নির্দেশনা মেনে যে রোজা রাখবে, তার নৈতিক চরিত্রে উন্নতি ঘটবে, সে অধিকতর সত্যবাদী এবং কথা ও কাজে আরও সতর্ক হবে।
সহমর্মিতা: রোজা একজন মানুষকে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করায়, ফলে সে দরিদ্রের অবস্থা বুঝতে পারে। এর ফলে তার মাঝে দরিদ্রেকে সহায়তা করার এবং তাদেরকে নিজ সম্পদের ভাগ দেয়ার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। আর এই চেতনার নমুনা হিসেবেই ঈদুল ফিতরের দিনে গরীবকে নির্দিষ্ট পরিমাণে দান করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রমজান মাস আত্মরক্ষার মাস। এ মাস ধৈর্য, সহনশীলতা ও ইবাদতের মাস। সর্বোপরি, রমজানে পবিত্রতা অর্জন করে আখিরাতে মুক্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস। তাই আমাদের উচিত এই পবিত্র মাসকে নিজেদের গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করা, যাতে সেই প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান দিয়ে বাকি ১১ মাস চলতে পারা যায়। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দিন, আমিন।
আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা বা তাকওয়া সৃষ্টি : রোজার মূল লক্ষ্য তাকওয়া অর্থাৎ আল্লাহ ভীতি এবং তাঁর সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন। কুরআনের যে আয়াতে রোজার আদেশ দেয়া হয়েছে, সে আয়াতেই এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে: “হে বিশ্বাসীগণ। তোমাদের জন্য সিয়াম পালনকে নির্ধারণ করা হল যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” (সূরা আল বাক্বারাহ, ২: ১৮৩) এ তাকওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ নৈতিক গুণগুলোর একটি, তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর ক্রোধ এবং নিজের মাঝে একটি ঢাল তৈরী করতে পারে। তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর সমস্ত আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা, তাঁর উপস্থিতির উপলব্ধি, এবং এটা জানা যে তিনি আমাদের দেখছেন যা আমাদেরকে ব্যক্তিগত জীবনে উন্নততর মানুষ হতে সাহায্য করবে।
আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করা: বিভিন্ন ধরনের ইবাদত প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সাথে আমাদের বন্ধন প্রতিষ্ঠার উপায়। রমজানে এই ইবাদতগুলো পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যেন আমরা এই মাস শেষে আল্লাহর সাথে সম্পর্কের উচ্চতর স্তরে অবস্থান করতে পারি। খাদ্য ও পানীয় দেহের পুষ্টির উৎস, মনের খোরাক হচ্ছে জ্ঞান, আর অন্তরের প্রয়োজন হচ্ছে ঈমান এবং আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা। রমজানে অধিক ইবাদতের দ্বারা আমরা ইবাদতকে আমাদের জীবনের মৌলিক কাঠামো হিসেবে গ্রহণের শিক্ষা পাই। কুরআনে যেমনটি বলা হচ্ছে: “...নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার ত্যাগ, আমার জীবন-মরণ, জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।”(সূরা আল আনআম, ৬:১৬২) এরকমই হচ্ছে একজন প্রকৃত মুসলমানের জীবন। রমজানে বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য এক মাসে কুরআন খতম করা নয়। বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর বাণীর সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীরতর করা, যদি কুরআনের বাণী আমাদের অন্তরে স্থান করে নিতে পারে, তবে তা আমাদের জীবনকে আমূল পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। রমজানে বেশী করে রাতের নফল নামাজ আদায় করা, যেন রমজানের পরও তা আমাদের অভ্যাস হিসেবে থেকে যায়। তেমনি এ মাসে ধার্মিক লোকদের সাহচর্য লাভে সচেষ্ট হওয়া, রোজাদারদের সাথে বসে একসাথে ইফতার করা, এবং রোজাদারেরা একে অপরকে ইফতারের দাওয়াত দেয়া।
নিয়ন্ত্রণ: রোজা যেহেতু খাদ্য, পানীয় এবং যৌন বাসনা থেকে সংযম, তাই এর মাধ্যমে রোজাদারের আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলন হয়। আত্মিক সংযমও রোজার লক্ষ্য। কেবল খাদ্য, পানীয় ইত্যাদিই নয়, রোজাদারকে মিথ্যা বলা, গীবত করা, দুর্নাম করা ইত্যাদি থেকেও বিরত থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে রোজা অবস্থায় মিথ্যা বলা এবং মিথ্যার ওপর আচরণ করা থেকে বিরত হল না, তার ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেছেন: “তোমাদের কেউ রোজা অবস্থায় যেন অশ্লীল কাজ ও অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত থাকে, এবং যদি কেউ কোন অশ্লীল কথা শুরু করে কিংবা তর্ক করতে আসে, তবে সে যেন তাকে বলে: “আমি রোজাদার।” তাই উপরোক্ত দিক নির্দেশনা মেনে যে রোজা রাখবে, তার নৈতিক চরিত্রে উন্নতি ঘটবে, সে অধিকতর সত্যবাদী এবং কথা ও কাজে আরও সতর্ক হবে।
সহমর্মিতা: রোজা একজন মানুষকে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করায়, ফলে সে দরিদ্রের অবস্থা বুঝতে পারে। এর ফলে তার মাঝে দরিদ্রেকে সহায়তা করার এবং তাদেরকে নিজ সম্পদের ভাগ দেয়ার প্রেরণা সৃষ্টি হয়। আর এই চেতনার নমুনা হিসেবেই ঈদুল ফিতরের দিনে গরীবকে নির্দিষ্ট পরিমাণে দান করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রমজান মাস আত্মরক্ষার মাস। এ মাস ধৈর্য, সহনশীলতা ও ইবাদতের মাস। সর্বোপরি, রমজানে পবিত্রতা অর্জন করে আখিরাতে মুক্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস। তাই আমাদের উচিত এই পবিত্র মাসকে নিজেদের গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করা, যাতে সেই প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান দিয়ে বাকি ১১ মাস চলতে পারা যায়। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দিন, আমিন।
Friday, October 23, 2009
Why do they Dress as they do

Scenario 1: An American woman enters her doctors’ office. She is an elegant woman, tall in stature. She is beautifully clad in a long green silk dress. She wears a beautiful green print head covering that cascades from her head to her knees. Her face too is covered in a green silk fabric from the nose down. She looks straight ahead with unwavering big brown eyes. Ignoring the stares of others, she gracefully walks across the room to a vacant seat.
Scenario 2: A woman in the United Kingdom pushes her shopping cart through the market. She is a young woman dressed in a long plain black dress. She wears a black head covering that is pinned at the neck and drapes over her chest. She takes her stand at the check out counter, despite the inquisitive eyes of the child in the cart in front of her.
Scenario 3: The Queen of an Arab Muslim country appears on American television. She is elegantly dressed in a silk blouse that buttons down the front. She wears a knee length short skirt and occasionally tosses her long hair about as she answers questions posed to her about women in Islam.
Three scenarios depicting three women who all profess to belong to the same faith. Yet each differently attired. Which one is truly dressing in accordance to the rules of their religion of Islam, and even still, why do they dress like that???
Islam is the second largest religion of the world. It is said that one out of every five people is Muslim. However despite attracting so many people to its way of life, Islam is the most misunderstood of all the major faiths of the world. Worst still is the perception many have in regards to the Muslim woman. Many view the Muslim woman as being inhibited and oppressed, and mainly they attribute this to her way of dress.
Does she have to dress in clothing from head to toe or is it a choice? Why do some cover their faces and others not? Is this cultural or religious?
To answer these questions we must look to the Holy Quran. In regards to how a Muslim woman is to dress, the Quran states,
“And tell the believing women to lower their gaze and to be mindful of their chastity, and not to display their charms in public beyond what may decently be apparent thereof; hence let them draw their head-coverings over their bosoms. And let them not display more of their charms to any but their husbands, or their fathers, or their husbands fathers, or their sons, or their husbands sons, or their brothers, or their brothers sons, or their sisters sons, or their womenfolk, or those whom they rightfully possess, or such male attendants who are beyond sexual desire, or children that are as of yet unaware of women’s nakedness; and let them not swing their legs in walking so as to draw attention to their hidden charms. And always you believers, turn to Allah (God) in repentance so that you may attain a happy state.” [Al-Quran Chapter 24, verse 31]
As anyone can see, the Muslim woman is commanded to dress covering her hair and not displaying her body to any male outside of her immediate family. So for those people who say a woman has a choice to cover they are wrong. If the woman is a believing, practicing Muslim she will follow the commands of her religion and abide by its laws. If she is not a believing Muslim then she will disobey the commands of her religion and thus suffer the consequences later when she goes before her Lord.
Why would a woman be commanded to cover up her body many ask? Is this to oppress her or degrade her? To answer that question we again turn the Holy Quran :
“O Prophet, tell thy wives and daughters and the believing women that they should cast their outer garments over their persons when abroad; that is most convenient so that they be not known as such and not molested; and Allah (God) is most forgiving, most merciful...” [Quran Chapter 33 verse 59]
As one can see, the laws of dress for woman were not made to oppress or degrade her. Instead those laws were made to protect her from the harm of others. One such story involved one of the wives of Muhammad (Pbuh) :
“The wives of the Prophet used to go to Al-Manasi, a vast open place (near Baqia at Medina) to answer the call of nature at night. ‘Umar used to say to the Prophet “Let your wives be veiled,” but Allah’s Apostle did not do so. One night Sauda bint Zam’a the wife of the Prophet went out at ‘Isha’ time and she was a tall lady. ‘Umar addressed her and said, “I have recognized you, O Sauda.” He said so, as he desired eagerly that the verses of Al-Hijab (the observing of veils by the Muslim women) may be revealed. So Allah revealed the verses of “Al-Hijab”.” [Bukhari 148]
Now that we have answered the question of how are Muslim women instructed to dress in accordance to their religion, we now have the issue of the covering of the face. Why are the women of countries such as Saudi, Iran and Afghanistan made to cover their faces? Why are there some Muslim women seen in the West who cover their face and others do not? What does Islam say about this and why?
To answer these questions we again go to the scriptures of Islam. As already shown, the Quran orders that a woman must cover her head and body, yet it makes no mention of her face or hands. It states, “Except what may decently be apparent thereof.” However as can be seen from the story of the prophet’s wife Sauda, his wives covered their faces as an added protection. So thus this is an area whereby a woman may choose to decide whether she wants to cover her face or not. The countries of Saudi Arabia, Iran and Afghanistan choose to have women cover completely as a protection for them and have thus made it the law of the land there for them. However again that is man’s law not God’s.
Now that we understand Islam’s laws in regards to a woman’s dress, we again ask the question, why do Muslim women dress as they do? The answer is simple. For the woman who truly believes in and understands the principles of her religion of Islam, who loves and fears God, and who believes in and is striving for Paradise, she proudly dresses the dress of dignity realizing that the opinions or views of others mean nothing to her. She understands that she is loved and cherished by a supreme being who has commanded her to dress this way as a protection and safeguard for herself. And pleasing him takes precedence over anyone else.
On the other hand, for the woman who lives for the life of this world and all its glory, she will overlook the laws of her religion and use the opinion of others to justify her disobedience not thinking or caring about the consequences she may face in the long run for this.
Now we end with a question for you….which woman would you rather be?
Scenario 2: A woman in the United Kingdom pushes her shopping cart through the market. She is a young woman dressed in a long plain black dress. She wears a black head covering that is pinned at the neck and drapes over her chest. She takes her stand at the check out counter, despite the inquisitive eyes of the child in the cart in front of her.
Scenario 3: The Queen of an Arab Muslim country appears on American television. She is elegantly dressed in a silk blouse that buttons down the front. She wears a knee length short skirt and occasionally tosses her long hair about as she answers questions posed to her about women in Islam.
Three scenarios depicting three women who all profess to belong to the same faith. Yet each differently attired. Which one is truly dressing in accordance to the rules of their religion of Islam, and even still, why do they dress like that???
Islam is the second largest religion of the world. It is said that one out of every five people is Muslim. However despite attracting so many people to its way of life, Islam is the most misunderstood of all the major faiths of the world. Worst still is the perception many have in regards to the Muslim woman. Many view the Muslim woman as being inhibited and oppressed, and mainly they attribute this to her way of dress.
Does she have to dress in clothing from head to toe or is it a choice? Why do some cover their faces and others not? Is this cultural or religious?
To answer these questions we must look to the Holy Quran. In regards to how a Muslim woman is to dress, the Quran states,
“And tell the believing women to lower their gaze and to be mindful of their chastity, and not to display their charms in public beyond what may decently be apparent thereof; hence let them draw their head-coverings over their bosoms. And let them not display more of their charms to any but their husbands, or their fathers, or their husbands fathers, or their sons, or their husbands sons, or their brothers, or their brothers sons, or their sisters sons, or their womenfolk, or those whom they rightfully possess, or such male attendants who are beyond sexual desire, or children that are as of yet unaware of women’s nakedness; and let them not swing their legs in walking so as to draw attention to their hidden charms. And always you believers, turn to Allah (God) in repentance so that you may attain a happy state.” [Al-Quran Chapter 24, verse 31]
As anyone can see, the Muslim woman is commanded to dress covering her hair and not displaying her body to any male outside of her immediate family. So for those people who say a woman has a choice to cover they are wrong. If the woman is a believing, practicing Muslim she will follow the commands of her religion and abide by its laws. If she is not a believing Muslim then she will disobey the commands of her religion and thus suffer the consequences later when she goes before her Lord.
Why would a woman be commanded to cover up her body many ask? Is this to oppress her or degrade her? To answer that question we again turn the Holy Quran :
“O Prophet, tell thy wives and daughters and the believing women that they should cast their outer garments over their persons when abroad; that is most convenient so that they be not known as such and not molested; and Allah (God) is most forgiving, most merciful...” [Quran Chapter 33 verse 59]
As one can see, the laws of dress for woman were not made to oppress or degrade her. Instead those laws were made to protect her from the harm of others. One such story involved one of the wives of Muhammad (Pbuh) :
“The wives of the Prophet used to go to Al-Manasi, a vast open place (near Baqia at Medina) to answer the call of nature at night. ‘Umar used to say to the Prophet “Let your wives be veiled,” but Allah’s Apostle did not do so. One night Sauda bint Zam’a the wife of the Prophet went out at ‘Isha’ time and she was a tall lady. ‘Umar addressed her and said, “I have recognized you, O Sauda.” He said so, as he desired eagerly that the verses of Al-Hijab (the observing of veils by the Muslim women) may be revealed. So Allah revealed the verses of “Al-Hijab”.” [Bukhari 148]
Now that we have answered the question of how are Muslim women instructed to dress in accordance to their religion, we now have the issue of the covering of the face. Why are the women of countries such as Saudi, Iran and Afghanistan made to cover their faces? Why are there some Muslim women seen in the West who cover their face and others do not? What does Islam say about this and why?
To answer these questions we again go to the scriptures of Islam. As already shown, the Quran orders that a woman must cover her head and body, yet it makes no mention of her face or hands. It states, “Except what may decently be apparent thereof.” However as can be seen from the story of the prophet’s wife Sauda, his wives covered their faces as an added protection. So thus this is an area whereby a woman may choose to decide whether she wants to cover her face or not. The countries of Saudi Arabia, Iran and Afghanistan choose to have women cover completely as a protection for them and have thus made it the law of the land there for them. However again that is man’s law not God’s.
Now that we understand Islam’s laws in regards to a woman’s dress, we again ask the question, why do Muslim women dress as they do? The answer is simple. For the woman who truly believes in and understands the principles of her religion of Islam, who loves and fears God, and who believes in and is striving for Paradise, she proudly dresses the dress of dignity realizing that the opinions or views of others mean nothing to her. She understands that she is loved and cherished by a supreme being who has commanded her to dress this way as a protection and safeguard for herself. And pleasing him takes precedence over anyone else.
On the other hand, for the woman who lives for the life of this world and all its glory, she will overlook the laws of her religion and use the opinion of others to justify her disobedience not thinking or caring about the consequences she may face in the long run for this.
Now we end with a question for you….which woman would you rather be?
Time will melt away, what we earn will stay!
Time is our most precious commodity. Nothing we covet and desire in life can be obtained except by spending time, and spending it properly, in its pursuit. We maybe spending our time to seek pleasure, to earn money and worldly possessions, to work, to enjoy, or we may simply idle it away - doing nothing.
Time is the first thing that Allah demands of us. It takes time to fight in the way of Allah. It takes time to pray. It takes time to do Da'wah. It takes time to read the Qur'an. It takes time to visit the sick. Every moment should be spent in seeking His pleasure, in fulfilling our commitment to Him. But, if we reflect more deeply, we will realise that what we are really required to sacrifice is not our time. It is the things in whose pursuit our time is being spent, things which may be contradictory to our goals in life, meaningless, unimportant or less important compared to Allah's cause. Therefore to give our time for Islam, before anything else, we must be ready to sacrifice many other things which claim our time.
How can we bring ourself to sacrifice these things and devote our time to Allah?
Remember that time is one thing we cannot hold on to even for a moment. It must continuously slip away from us, in whatever way we choose to spend it. Its value to us is simply what we gain from it. Time will melt away, what we earn will stay.
Time is the first thing that Allah demands of us. It takes time to fight in the way of Allah. It takes time to pray. It takes time to do Da'wah. It takes time to read the Qur'an. It takes time to visit the sick. Every moment should be spent in seeking His pleasure, in fulfilling our commitment to Him. But, if we reflect more deeply, we will realise that what we are really required to sacrifice is not our time. It is the things in whose pursuit our time is being spent, things which may be contradictory to our goals in life, meaningless, unimportant or less important compared to Allah's cause. Therefore to give our time for Islam, before anything else, we must be ready to sacrifice many other things which claim our time.
How can we bring ourself to sacrifice these things and devote our time to Allah?
Remember that time is one thing we cannot hold on to even for a moment. It must continuously slip away from us, in whatever way we choose to spend it. Its value to us is simply what we gain from it. Time will melt away, what we earn will stay.
সালাতুত তাছবীহ নামায
যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন যাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর হুকুম এবং নবীজীর সুন্নত মোতাবেক ছিল। তারা সত্যিই আল্লাহর দরবারে নিজেদের অপরাধী, গুনাহগার, মনে করতেন। গ্রহণ করতেন তারা গুনাহ মাফের কার্যকরী পন্থা। তাই তো হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রতি শুক্রবার এই নামাজ আদায় করতেন। হজরত আবু জাওযা (রহঃ) অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।
সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিনশতবার তাছবীহ পাঠ করা হয় তাই সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে এই নামায পড়লে আল্লাহপাক পুরাতন এবং নতুন, ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত, ছোট বড়, গোপনে করা, প্রকাশ্যে করা যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, তা না হয় বছরে একবার; যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়া উচিত।
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়মঃ সালাতুত তাসবিহ চার রাকায়াত নামাজ। প্রত্যেক রাকায়াতে ৭৫ বার করে মোট চার রাকায়াতে ৩০০ বার নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে হয়। ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ অর্থঃ "আমি আল্লাহ তাআ’লার গুণগান কীর্তন করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআ’লার নিমিত্ত, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।"
১) প্রথমে সালাতুত তাছবীহ নামায ৪ রাকআত নফল নামাযের নিয়্যত করতে হবে।
২) তারপর সানা,সূরা ফাতিহা,যে কোন একটা সূরা পড়ার পর উপরোক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়তে হবে।
৩) রূকুতে গিয়ে রূকুর দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে।
৪) রূকুর কাজ শেষ হলে সামিআল্লহু…………হামদ বলার পর দাঁড়িয়েই ওই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৫) এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৬) একটি সিজদা হতে উঠে বসেই ১০ বার পড়তে হবে ।
৭) তারপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর ১০ বার পড়তে হবে ।
৮) দ্বিতীয় সিজদা হতে উঠে বসে আবারও ১০ বার পড়তে হবে ।এক রাকআত শেষ হল। ঠিক একই নিয়মে আরও ৩ রাকআত নামায পড়তে হবে। সর্বমোট এক রাকআত নামাযে উপরোক্ত তাসবীহ ৭৫ বার পড়তে হবে। ৪ রাকআত নামাযে ৩০০বার হবে।
**মাঝ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগেই ১০ বার পড়তে হবে । এবং শেষ বৈঠকে ১০ বার পড়ার পর আত্তাহিয়্যাতু ,দরূদ শরীফ,দোআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে। এই নামায যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়া যায়। মাকরূহ সময় ব্যতীত দিনে-রাতে যে কোন সময় এই নামায পড়া যায়।
সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিনশতবার তাছবীহ পাঠ করা হয় তাই সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে এই নামায পড়লে আল্লাহপাক পুরাতন এবং নতুন, ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত, ছোট বড়, গোপনে করা, প্রকাশ্যে করা যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, তা না হয় বছরে একবার; যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়া উচিত।
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়মঃ সালাতুত তাসবিহ চার রাকায়াত নামাজ। প্রত্যেক রাকায়াতে ৭৫ বার করে মোট চার রাকায়াতে ৩০০ বার নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে হয়। ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ অর্থঃ "আমি আল্লাহ তাআ’লার গুণগান কীর্তন করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআ’লার নিমিত্ত, আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।"
১) প্রথমে সালাতুত তাছবীহ নামায ৪ রাকআত নফল নামাযের নিয়্যত করতে হবে।
২) তারপর সানা,সূরা ফাতিহা,যে কোন একটা সূরা পড়ার পর উপরোক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়তে হবে।
৩) রূকুতে গিয়ে রূকুর দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে।
৪) রূকুর কাজ শেষ হলে সামিআল্লহু…………হামদ বলার পর দাঁড়িয়েই ওই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৫) এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর একই তাসবীহ ১০ বার পড়তে হবে ।
৬) একটি সিজদা হতে উঠে বসেই ১০ বার পড়তে হবে ।
৭) তারপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে সিজদার দোআ পড়ার পর ১০ বার পড়তে হবে ।
৮) দ্বিতীয় সিজদা হতে উঠে বসে আবারও ১০ বার পড়তে হবে ।এক রাকআত শেষ হল। ঠিক একই নিয়মে আরও ৩ রাকআত নামায পড়তে হবে। সর্বমোট এক রাকআত নামাযে উপরোক্ত তাসবীহ ৭৫ বার পড়তে হবে। ৪ রাকআত নামাযে ৩০০বার হবে।
**মাঝ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার আগেই ১০ বার পড়তে হবে । এবং শেষ বৈঠকে ১০ বার পড়ার পর আত্তাহিয়্যাতু ,দরূদ শরীফ,দোআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে। এই নামায যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়া যায়। মাকরূহ সময় ব্যতীত দিনে-রাতে যে কোন সময় এই নামায পড়া যায়।
সুরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত এবং এর ফজীলতঃ
যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর এবং মাগরীবের নামাজের পর এই ৩টি আয়াত একবার পাঠ করবে সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত আল্লাহর নিকট মাগফেরাত কামনা করবে।
বিস্মিল্লাহির রাহমানুর রাহিম,
২২) হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লাহু। আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতী হুয়ার রাহমানুর রাহীম।
২৩) হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লাহু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যুমিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন।
২৪) হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।
অর্থঃ
২২) তিনিই আল্লাহ্ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।
২৩) তিনিই আল্লাহ্ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্ন্যশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ্ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র।
২৪) তিনিই আল্লাহ্ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
বিস্মিল্লাহির রাহমানুর রাহিম,
২২) হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লাহু। আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতী হুয়ার রাহমানুর রাহীম।
২৩) হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লাহু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যুমিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা ইউশরিকুন।
২৪) হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।
অর্থঃ
২২) তিনিই আল্লাহ্ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।
২৩) তিনিই আল্লাহ্ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্ন্যশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ্ তা’ আলা তা থেকে পবিত্র।
২৪) তিনিই আল্লাহ্ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
মহৎ গুন দয়া ও ক্ষমা, ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য্য

মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম হলো- আর রাহমান বা পরম দয়ালু। তাঁর দয়ার মহাসমুদ্র হতে একবিন্দু দয়া তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে দান করেছেন। এজন্যই অপরের প্রতি দয়া দেখানো মানুষের একটি অপরিহার্য ও অনন্য বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “ আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতামাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতিম-মিসকিন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে”( ৪:৩৬) । তাই মানুষের উচিত মানবতার জন্য স্নেহশীল, করুণাপ্রবণ, সহানুভূতিশীল এবং পরস্পরের শোকে-দুঃখে বেদনা অনুভবকারী হওয়া আর ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। তারপরও আজকের মানব সমাজ থেকে দিন দিন যেন দয়া নামের এ মহৎ গুণটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। আজ দয়া-মায়া ও মহত্ত্ববোধ নেই বলেই সমাজে এত অরাজকতা। সুতরাং একজন মুসলমান হিসেবেতো বটেই একজন মানুষ হিসেবেও আমাদের উচিত অপরের প্রতি দয়াপরবশ হওয়া। নিজের মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে প্রকৃত মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন করা।
আল্লাহতায়ালা গাফুরুর রাহিম বা ক্ষমাশীল। তাই মানুষকেও ক্ষমাশীল হতে হবে। সব ধরনের লোভ, অহংকার, প্রতিশোধ স্পৃহা এবং প্রতিহিংসার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। এইসব একজন মানুষকে করে তোলে হিংস্র ও পাশবিক। এরা কখনই মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি লাভ করে না। এরা যেমন কাউকে ক্ষমা করতে পারে না তেমনি পারে না উদার হতে। ইসলাম মানুষকে ক্ষমা করতে শেখায়। আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বহু ত্যাগ, কষ্ট, অত্যাচার, নির্যাতন ও অমানবিক ক্লেশ সহ্য করেছেন। আর এসব কিছুই তিনি সহ্য করেছেন হাসিমুখে এবং প্রতিশোধ নেয়ার সম্পূর্ন সুযোগ পেয়েও তিনি তাঁর প্রতি যারা অত্যাচার করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে কারো জন্য কোনরকম অভিযোগ কিংবা বদদোয়া করেননি। বরং আল্লাহর কাছ থেকে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি চাওয়া হলে বিনীতভাবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তায়েফের ঘটনা এর একটি অন্যতম উদাহরণ। ক্ষমার আদর্শ স্থাপন না করে তিনি যদি প্রতিশোধ নিতেন তাহলে ধর্ম হিসাবে ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করত না। ইসলাম মানুষের মন জয় করতে পারত না এবং ইসলামের সৌন্দর্য্যও মানুষ উপলব্ধি করার সুযোগ পেত না।
আজকের পৃথিবীর দিকে আমরা তাকালেই দেখতে পাই আমাদের জীবনের চারপাশে নানা বিভীষিকাময় নৈরাজ্য, নৈরাশ্য, হিংসা, বিদ্বেষ, অত্যাচার, খুন খারাবি, যুদ্ধ বিগ্রহ, দ্বন্দ্ব বিরোধ। দয়া এবং ক্ষমার মত সুন্দর এই গুণগুলোই পারে আমাদেরকে এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে।
প্রতিদিনের জীবনে দোয়া’র উপকারিতা এবং এর গুরুত্ব

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাকো আমি সাড়া দেবো। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা সত্ত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।” ( সুরা মুমিন আয়াত-৬০)মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্ট জীবের উপর মানুষকে মযররাদাশীল করেছেন। পবিত্র আল-কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ মানুষকে শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ইবাদত ও দোয়া করতে হবে। উদাহরনস্বরুপ, সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “হে মুমিনগণ ধৈর্য্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।” হাদিস শরীফেও দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত সুন্দরভাবে বর্নিত হয়েছে। একটি হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে বেশি কোন বস্তু সম্মানিত ও মহৎ নয়।”(তিরমিযী) তিনি আরও বলেছেন, “দোয়া ইবাদতের নির্যাস।”(তিরমিযী) অন্য আরেকটি হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, “যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হোন।”(তিরমিযী)
ক্ষুধাতৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমরা পানাহার করে থাকি। আমাদের অসংখ্য পাপ সত্ত্বেও যিনি আমাদের রিজিক দান করেছেন সেই আল্লাহকে স্মরন করতে আমরা যদি খাওয়ার পুর্বে ও পরে দোয়া পড়ি তাহলে আল্লাহ আমাদের অনুগ্রহ করবেন এবং তাঁর ইবাদতের জন্য সেই আহার থেকে আমরা প্রয়োজনীয় দৈহিক শক্তি সঞ্চয় করতে পারবো। একইভাবে, লজ্জা নিবারণের জন্য, শীত গ্রীষ্মের প্রতিকুল অবস্থা থেকে আত্মরক্ষার জন্য আমরা পোশাক পরি। আমরা যদি পোশাক পরার সময় এ সম্পর্কে যে দোয়াটি আছে তা পড়ি তাহলে একসঙ্গে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের জন্য তাঁর শুকরিয়া আদায় করা হবে আর সেইসাথে তাঁকে স্মরন করাও হবে।
এভাবে প্রতিদিনের প্রতিটি কাজে বা বিশ্রামের প্রতিটি ক্ষণে দোয়া পড়লে আমাদের অন্তর কখনও আল্লাহর স্মরন হতে বিরত থাকতে পারবে না এবং শয়তানও আমাদের প্রলোভিত করার সুযোগ পাবে না। কাজেই, আমাদের উচিত বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরন করা আর বিশেষ বিশেষ দোয়া পড়ে একজন প্রকৃত মুমিন হিসাবে তাঁর প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দেয়া।
Saturday, October 17, 2009
দুঃখ কষ্ট, সে তো জীবনেরই একটা অংশ

ক্ষুধা নিবৃত্ত করে খাদ্য। পিপাসা মেটায় পানি। একটা পরিশ্রান্ত দিনের শেষে আসে ঘুম। পথহারা একজন মানুষ অবশ্যই একদিন খুঁজে পায় তার পথ। অন্ধকার রাত্রির অবসান ঘটিয়ে আসে একটি রোদ্দজ্জ্বল দিন। মাইলের পর মাইল মরুভুমির পাড় হয়ে কখনো না কখনো সবুজ তৃনভুমির দেখা মিলবেই। একবুক কান্না শেষে মুখে একবার না একবার হাসি ফুটে উঠে। উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুঃখ-কষ্ট, হতাশার শেষে শান্তি আসবেই আসবে।“নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।” (৯৪:৬)
তাই আর নয় হতাশা, নয় কোন দুঃখ কষ্ট। দিন সব সময় সমান যায় না। সময় পরিবর্তনশীল, ভবিষ্যত দৃশ্যমান নয়। প্রতিদিনের এই জীবনে কিছু না কিছু অভিনবত্ব মহান আল্লাহ নির্ধারন করে রেখেছেন, যা মানুষ জানে না।
“পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটি বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যানকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্য অকল্যানকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।” (২:২১৬)
আলহামদুলিল্লাহ, যে কোন পরিস্থিতিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে শুকরিয়া।।
জীবন থেকে নেয়া একটি গল্প

অন্যান্য দিনের মত একদিন রহমান সাহেব তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভ্রমনে বের হলেন। হঠাৎ রাস্তার পাশে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি গাড়ী থামিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন,-“কে আপনি?”
রাস্তার পাশে দাঁড়ানো লোকটি বলল,-“আমি টাকা”
রহমান সাহেব স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কাছে জানতে চাইলেন লোকটিকে লিফট দেয়া যাবে কিনা? শুনে সবাই বলে উঠলো,-“হ্যাঁ অবশ্যই। কারন জীবনে টাকার খুব দরকার। এই ‘টাকা’ আমাদের সঙ্গে থাকলে আমরা আমাদের ইচ্ছানু্যায়ী যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো।”তারা টাকাকে সাথে নিয়ে চলা শুরু করলো।
কিছুদূর যাওয়ার পর রহমান সাহেব আবার একজন লোককে রাস্তায় দেখতে পেলেন এবং জানতে চাইলেন,-“ভাই, আপনি কে?”
লোকটি বলল,-“আমার নাম পেশীবল”
লোকটির নাম ‘পেশীবল’ জানার সাথে সাথেই গাড়ীতে থাকা সবাই বলে উঠলো তাকে লিফট দিতে। কারন “পেশীবল’ তাদের সাথে থাকলে তারা এই পেশীবলের জোড়ে সমাজের উচুঁস্থানসহ যশ, খ্যাতি, মান সব নিজের আয়ত্বে আনতে পারবে। তাই তারা পেশীবলকে সঙ্গে নিয়ে আবার রওনা হল।
চলতে চলতে একসময় তারা আবার একজনকে দেখতে পেল এবং রহমান সাহেব যথারীতি জানতে চাইলেন,-“আপনি কে?”
লোকটি বলল,-“আমি ধর্ম, আমাকে কি আপনাদের সাথে নেয়া যাবে?”
ধর্মকে দেখার সাথে সাথেই সবাই একবাক্যে আপত্তি করে বলে উঠলো,-“না, না, না, এটা সময় নয় ধর্মকে সাথে নেয়ার, আমরা এখন পৃথিবীর আনন্দ, ভোগবিলাস উপভোগ করছি। এই ‘ধর্ম’ সাথে থাকলে সে আমাদের এটা করো না, ওটা করো না বলে আমাদের উপরে কর্তৃত্ব ফলাবে। এখন একে নেয়ার দরকার নেই, ফেরার পথে একে সাথে নেয়া যাবে ততক্ষন পর্যন্ত ধর্ম এখানেই থাক। আগে তো জীবনটা উপভোগ করি তারপর না হয় ধর্মকে নিয়ে ভাবা যাবে”তারা ধর্মকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেল।
কিন্তু তাদের জীবনে ভোগ বিলাস ও আনন্দ দিতে পারে এমন যাদের দেখা তারা যাত্রাপথে পেলো, তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চললো।হঠাৎ রাস্তার মাঝে একটি চেক পোষ্টে স্টপ সাইন দেখে রহমান সাহেবকে গাড়ী থামাতে হলো। একজন লোক ইশারায় রহমান সাহেবকে গাড়ী থেকে নামতে বললেন।লোকটি বলল,-“রহমান সাহেব, আপনাকে এখানেই এই যাত্রা শেষ করে আমার সাথে যেতে হবে”
রহমান সাহেব গাড়ী থেকে নেমে কিছুটা অবাক হয়ে লোকটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। তিনি কোন কথা বলছেন না দেখে লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলেন,-“আচ্ছা, আপনার সাথে কি ধর্ম আছেন?”
রহমান সাহেব বললেন,-“না ধর্ম তো আমাদের সাথে নেই, তাকে তো আমরা রাস্তায় ফেলে রেখে এসেছি, যদি আপনি চান তবে আমি আবার তাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি”
লোকটি মাথা নেড়ে বলল,-“না সেটা সম্ভব নয়, কারন আপনি আর ফিরে যেতে পারবেন না”
এই কথা শুনে রহমান সাহেব বললেন,-“আমার কাছে জীবনকে উপভোগ করা যায় এমন অনেকে আছে, তাদের বিনিময়েও কি আমাকে ছাড়া যায় না?”
লোকটি বলল,-“আপনি যাদের কথা বললেন আল্লাহর সামনে তারা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। এরা আপনার জন্য কোন কাজে আসবে না। আজ যদি ধর্ম আপনার সাথে থাকত তাহলে সে এই বিপদে আপনাকে সাহায্য করতে পারত। কিন্তু আফসোস! তাকে আপনি রাস্তায় ফেলে এসেছেন”
রহমান সাহেব জানতে চাইলেন,-“আপনি আসলে কে বলুন তো?”
লোকটি বলল,-“আমি মৃত্যু”
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রহমান সাহেব তার গাড়ীর দিকে তাকাতেই দেখতে পেলেন সবাই তাকে ফেলে আবার যাত্রা শুরু করেছে। কেউ আর তার সঙ্গে এলো না।
এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনটা চিরস্থায়ী নয়। আমরা জানি না মৃত্যু কখন আসবে। এটা হতে পারে আজকে, আগামীকাল, যে কোন একদিন বা যে কোন মুহূর্তে।
ইসলাম এবং নারী
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং পরিপূরক। সৃষ্টি বৈচিত্র্যের মেলায় বেশকিছু ক্ষেত্রে পুরুষ অপূর্ণ, নারীর ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। এই অপূর্ণতা নিরসনে একজনকে আরেকজনের পরিপূরক করে সৃষ্টি করা হয়েছে। নানা রঙ্গের ফুলের বাহারে যেমন একটা স্তবক গড়ে উঠে মনোহরী অবয়বে তেমনিভাবে নারী-পুরুষ মিলেই মনুষ্য একক গড়ে উঠে বাহারী মাত্রায়।
মা-ছেলে, পিতা-কন্যা, ভগ্নি-ভ্রাতা এ সম্পর্ক তো দ্বান্দ্বিকতার কল্পনারও বাইরে। এ ক্ষেত্রে তো মায়ের পায়ের নীচে ছেলের বেহেশত সংস্থাপন করে মায়ের আনুগত্য ছাড়া ছেলের অন্য কিছু চিন্তারও অবকাশ নেই। হাদিসে পাকে হেদায়াত দেয়া হয়েছে পিতাকে স্পষ্ট ভাষায়, বাইরে গেলে পুত্র-কন্যার জন্য কিছু নিয়ে আসবে, আর ঘরে এসে কন্যার হাতেই আগে তুলে দিবে সেই উপহার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আসমান থেকে প্রেরিত হন এক পবিত্র দূত ফেরেস্তা যিনি সেই পরিবারের উপর রহমত ও বরকতের আশীষ নাযিল করেন বিশেষভাবে। পুত্র জন্মানোর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। নারী-পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্ত্রী-স্বামীর ক্ষেত্রে আপাত দ্বান্দ্বিকতার কল্পনা হয়ত হতে পারে। এ সম্পর্ক মা-পুত্র, পিতা-পুত্রী, ভ্রাতা-ভগ্নীর মতো জন্মজ ও স্বভাজ সুসম্পর্কভিত্তিক নয়। এ সম্পর্ক অর্জিত, গড়ে তোলা সমঝোতা। এই ক্ষেত্রেও ইসলাম পরস্পর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে পরস্পর অবিচ্ছেদ্য পরিচ্ছদ হিসাবে। ইরশাদ হচ্ছে, তোমরা তাদের পরিচ্ছদ আর তারা তোমাদের পরিচ্ছদ।ইসলাম নারীকে সর্বক্ষেত্রেই অধিকার দিয়েছে বেশি আর পুরুষকে দায়িত্ব দিয়েছে বেশি। ইসলাম নারীর জন্য সকল প্রকার কল্যাণকর বাস্তবসম্মত ও বৈধ অধিকার দিয়েছে। যেমন-মা হিসাবে নারীর যে অধিকার ইসলাম দিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে যুগ যুগ ধরে যশোগাঁথা হয়ে থাকবে। যেমন- একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে গিয়ে বলেছিলেন, কাকে খেদমত করবো? রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার পিতাকে। এখানে দেখা যাচ্ছে মা হিসাবে নারী জাতিকে পিতার চেয়ে তিন গুণ অধিকার বেশি দিয়েছে। বিয়ের অধিকারের ক্ষেত্রে তো ইসলামে নারী সম্পূর্ণ স্বাধীন। এমনকি পিতা-মাতাও তাকে এই বিষয়ে কোনরূপ চাপ প্রদানের ক্ষমতা রাখে না। নবী (সাঃ) এর যুগে একবার এক কন্যাকে তার পিতা সম্মতি না নিয়েই স্বীয় পছন্দমত বিয়ে দিয়ে দেয়। তখন সেই কন্যা মসজিদে নববীতে সকলের সামনে এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, এ তোমার অধিকার। ইচ্ছা করলে পিতার পছন্দকে গ্রহণ করতে পার আর না চাইলে তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারে। তখন এই মহিলা বললেন, আমি আমার পিতাকে বিব্রত করব না। তবে এখন এসেছি কিয়ামত পর্যন্ত নারীদের অধিকারকে স্পষ্ট করার জন্য।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোন তারতম্য নেই ইসলামে। আমরা জানি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া সামাজিক মূল্যায়ন অনেক সময় প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাই এক্ষেত্রেও নারীদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি স্বাধীনভাবে তাদের জন্য নিজেদের পেশা বেছে নেয়ার অধিকার স্বীকৃত। সাহাবী মহিলাগণের অনেকেই তৎকালে প্রচলিত বহু পেশা স্বাধীনভাবে অবলম্বন করেছিলেন। ইসলামে পিতা-মাতার পরিত্যক্ত সম্পদে নারীদেরকে পুরুষের অর্ধেক পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু নারী সব অর্থনৈতিক ব্যয় থেকে মুক্ত। নারীর উপার্জনে স্বামী, পিতা, ভাই পুত্র কারোরই হস্তক্ষেপের অধিকার দেয়া হয়নি। নারী যা উপার্জন করবে তা তার, এ কথা কুরআন মজীদে একাধিকবার উল্লেখ রয়েছে। উপার্জনের ক্ষেত্রে যেমন তার পূর্ণ অধিকার তেমনি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও তাকে পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বামী, পিতা বা অন্য কোন পুরুষের অনুমতি নেয়ার কোন প্রয়োজন রাখা হয়নি। তবে হালাল-হারামের গণ্ডি পুরুষের মতো নারীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।
পরিশেষে, নারীর প্রতি সদয় অথবা নিষ্ঠুর আচরণে এক জাতির সাথে আরেক জাতির এবং এক আইনের সাথে আরেক আইনের যতই পার্থক্য ও বৈপরীত্য থাকুক না কেন, ইসলামের অভ্যুদয়ের আগে নারী কখনো কোনো সমাজে তার যথাযোগ্য সামাজিক ও আইনগত মর্যাদা লাভ করেনি।
মা-ছেলে, পিতা-কন্যা, ভগ্নি-ভ্রাতা এ সম্পর্ক তো দ্বান্দ্বিকতার কল্পনারও বাইরে। এ ক্ষেত্রে তো মায়ের পায়ের নীচে ছেলের বেহেশত সংস্থাপন করে মায়ের আনুগত্য ছাড়া ছেলের অন্য কিছু চিন্তারও অবকাশ নেই। হাদিসে পাকে হেদায়াত দেয়া হয়েছে পিতাকে স্পষ্ট ভাষায়, বাইরে গেলে পুত্র-কন্যার জন্য কিছু নিয়ে আসবে, আর ঘরে এসে কন্যার হাতেই আগে তুলে দিবে সেই উপহার। কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আসমান থেকে প্রেরিত হন এক পবিত্র দূত ফেরেস্তা যিনি সেই পরিবারের উপর রহমত ও বরকতের আশীষ নাযিল করেন বিশেষভাবে। পুত্র জন্মানোর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। নারী-পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্ত্রী-স্বামীর ক্ষেত্রে আপাত দ্বান্দ্বিকতার কল্পনা হয়ত হতে পারে। এ সম্পর্ক মা-পুত্র, পিতা-পুত্রী, ভ্রাতা-ভগ্নীর মতো জন্মজ ও স্বভাজ সুসম্পর্কভিত্তিক নয়। এ সম্পর্ক অর্জিত, গড়ে তোলা সমঝোতা। এই ক্ষেত্রেও ইসলাম পরস্পর সম্পর্ক গড়ে তুলেছে পরস্পর অবিচ্ছেদ্য পরিচ্ছদ হিসাবে। ইরশাদ হচ্ছে, তোমরা তাদের পরিচ্ছদ আর তারা তোমাদের পরিচ্ছদ।ইসলাম নারীকে সর্বক্ষেত্রেই অধিকার দিয়েছে বেশি আর পুরুষকে দায়িত্ব দিয়েছে বেশি। ইসলাম নারীর জন্য সকল প্রকার কল্যাণকর বাস্তবসম্মত ও বৈধ অধিকার দিয়েছে। যেমন-মা হিসাবে নারীর যে অধিকার ইসলাম দিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে যুগ যুগ ধরে যশোগাঁথা হয়ে থাকবে। যেমন- একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে গিয়ে বলেছিলেন, কাকে খেদমত করবো? রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার মাকে, তারপর কাকে? তোমার পিতাকে। এখানে দেখা যাচ্ছে মা হিসাবে নারী জাতিকে পিতার চেয়ে তিন গুণ অধিকার বেশি দিয়েছে। বিয়ের অধিকারের ক্ষেত্রে তো ইসলামে নারী সম্পূর্ণ স্বাধীন। এমনকি পিতা-মাতাও তাকে এই বিষয়ে কোনরূপ চাপ প্রদানের ক্ষমতা রাখে না। নবী (সাঃ) এর যুগে একবার এক কন্যাকে তার পিতা সম্মতি না নিয়েই স্বীয় পছন্দমত বিয়ে দিয়ে দেয়। তখন সেই কন্যা মসজিদে নববীতে সকলের সামনে এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, এ তোমার অধিকার। ইচ্ছা করলে পিতার পছন্দকে গ্রহণ করতে পার আর না চাইলে তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারে। তখন এই মহিলা বললেন, আমি আমার পিতাকে বিব্রত করব না। তবে এখন এসেছি কিয়ামত পর্যন্ত নারীদের অধিকারকে স্পষ্ট করার জন্য।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোন তারতম্য নেই ইসলামে। আমরা জানি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া সামাজিক মূল্যায়ন অনেক সময় প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাই এক্ষেত্রেও নারীদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি স্বাধীনভাবে তাদের জন্য নিজেদের পেশা বেছে নেয়ার অধিকার স্বীকৃত। সাহাবী মহিলাগণের অনেকেই তৎকালে প্রচলিত বহু পেশা স্বাধীনভাবে অবলম্বন করেছিলেন। ইসলামে পিতা-মাতার পরিত্যক্ত সম্পদে নারীদেরকে পুরুষের অর্ধেক পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু নারী সব অর্থনৈতিক ব্যয় থেকে মুক্ত। নারীর উপার্জনে স্বামী, পিতা, ভাই পুত্র কারোরই হস্তক্ষেপের অধিকার দেয়া হয়নি। নারী যা উপার্জন করবে তা তার, এ কথা কুরআন মজীদে একাধিকবার উল্লেখ রয়েছে। উপার্জনের ক্ষেত্রে যেমন তার পূর্ণ অধিকার তেমনি ব্যয়ের ক্ষেত্রেও তাকে পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বামী, পিতা বা অন্য কোন পুরুষের অনুমতি নেয়ার কোন প্রয়োজন রাখা হয়নি। তবে হালাল-হারামের গণ্ডি পুরুষের মতো নারীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।
পরিশেষে, নারীর প্রতি সদয় অথবা নিষ্ঠুর আচরণে এক জাতির সাথে আরেক জাতির এবং এক আইনের সাথে আরেক আইনের যতই পার্থক্য ও বৈপরীত্য থাকুক না কেন, ইসলামের অভ্যুদয়ের আগে নারী কখনো কোনো সমাজে তার যথাযোগ্য সামাজিক ও আইনগত মর্যাদা লাভ করেনি।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ থেকে কিছু শিক্ষালাভ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে অনিন্দ্যসুন্দর আদর্শ পেশ করেছেন, তা যেমন চিরস্মরণীয়, তেমনি চিরঅনুকরণীয়। পবিত্র কুরআনে তাঁর মহান আদর্শকে 'উস্ওয়াতুন হাসানা' বা উত্তম নমুনা বলা হয়েছে। তাঁর পবিত্র জীবনের প্রতিটি ঘটনা ছোট হোক কি বড়, ব্যক্তিজীবনের হোক কি সমাজ ও জাতীয় জীবনের সবই সংরক্ষিত রয়েছে। এমনকি তাঁর জীবনের প্রতিটি কথা কণ্ঠস্থ করা হয়েছে। তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ সমগ্র মানবজাতির জন্য একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ।
আমাদের দেশ তথা বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদের অনাকাঙ্ক্ষিত বিস্তার সবাইকে শঙ্কিত করে তুলেছে। রাসূল (সাঃ) এর আদর্শই সন্ত্রাস দমনের একমাত্র পথ। নৈতিক অবক্ষয়ের সিঁড়ি বেয়ে সন্ত্রাস নামে। সুতরাং সন্ত্রাস দমন করতে হলে জাতির চারিত্রিক উন্নতি অর্জন করা অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এ শর্ত পূরণের জন্য নবী সাঃ-এর চরিত্রই অনুসরণযোগ্য। রাসূল (সাঃ) এর চারিত্রিক গুণাবলির মধ্যেই সন্ত্রাস দমনের প্রাথমিক পদক্ষেপের সন্ধান পাওয়া যায়। অন্যায়, অসাধুতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমনই এক সহযোগী তরুণ সংগঠন মহানবী (সাঃ) ই দাঁড় করিয়েছিলেন। 'হিলফ-উল-ফুজুল' নামের ওই প্রতিরোধক যুব সংগঠনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আজকের আধুনিক বিশ্বেও রয়েছে অম্লান। নেতৃত্বের লোভে সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। রাসূল (সাঃ) নেতৃত্বের লোভকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখেছেন। যারা নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য লালায়িত তারা নেতা হওয়ার অযোগ্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অসৎ চাপে বিচার ও শাসন বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তিনি শাসন ও বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বড় বড় সন্ত্রাসী ঘটনার মূলে কখনো কখনো দেখা যায় সামান্য সহিষ্ণুতার অভাব। এই সহিষ্ণুতাবোধে আমরা উদ্দীপ্ত হতে দেখি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর আদর্শে, যার সামান্যতম প্রয়োগও সন্ত্রাস দমনে কার্জকরী ভূমিকা পালনে সক্ষম। সন্তানকে অপরাধী বানাতে পিতা-মাতাই বড় কারিগর। তাই সন্তানকে সচ্চরিত্রবানরূপে গড়তে নবীর আদর্শেই খুঁজে পাওয়া যায় সুষ্ঠু ও আলোকিত দিকনির্দেশনা। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষরূপে গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইসলাম পিতা-মাতার ওপর অর্পণ করেছে। তারা যদি পরিকল্পিতভাবে তাদের সে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সন্তানদের পক্ষে সন্ত্রাসী হয়ে ওঠা সহজ হবে না। ভ্রাতৃত্ববোধের অভাব সন্ত্রাসের জন্য দায়ী। সব মানুষকে ভ্রাতৃত্ববোধের অদৃশ্য সুতোয় গেঁথে দিয়েছিলেন আমাদের নবী। বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে একটি অখণ্ড ভ্রাতৃসঙ্ঘ।’ মানব জাতির সবাইকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে বাঁধা গেলে কি আর সন্ত্রাস জন্ম নিতে পারত কখনো?
হাদিসে আছে “হুব্বুল অতানে মিনাল ইমান”-দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। মহানবী (সাঃ) নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ও দেশের মানুষকে বেশি ভালবাসতেন। আবার সাধারন মানুষও তাঁকে প্রাণ ভরে ভালবাসতেন। রাসূল (সাঃ) এর ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েই মরু আরবের উগ্র মানুষগুলো তাঁকে ছোটবেলাতেই আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। তিনি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় বারবার মক্কার দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। এটা তাঁর দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ। আজ আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বলেই মানুষে মানুষে এত দ্বন্দ্ব, হানাহানি, মারামারি আর খুনখারাবি।
গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সেই সাথে উন্নত বিশ্বে আজ দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটে আজ মহানবী (সাঃ) এর বাণী কার্জকর হয়ে উঠেছে। যেমন একচেটিয়া ব্যবসা ভাল নয়। যে লোক গ্রাম থেকে খাদ্যশস্য কিনে এনে শহরে খুব বেশি দামে বিক্রি করতে না চায়, শেষ পর্জন্ত সেই হয় বেশি লাভবান। কারন সে বেশি বিক্রি করতে পারে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা খাদ্যশস্য মজুত করে রেখে বেশি দামে বিক্রি করার কথা চিন্তা করো না। কারণ তাতে লাভ হবে কম।” ইসলাম কখনই একচেটিয়া ব্যবসায় সমর্থন করে না। আজকে বিশেষ যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার একটি কারণ হলো একচেটিয়া ব্যবসার প্রবণতা। ইসলাম কত দিন আগে শ্রমজীবি মানুষের কথা ভেবেছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার তার ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দাও।” আর ব্যবসায় অসততাকে তিনি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন। এ ধরনের ব্যবসায়ী তাঁর উম্মত নয় বলতেন।
বর্তমান সময়ে যদি কেউ একজন আদর্শ শিক্ষক, একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, একজন আদর্শ ধর্মপ্রচারক, একজন আদর্শ সমাজ সংস্কারক এবং একজন মানবতাবাদীকে খুঁজতে চায় তাহলে তার অনুসন্ধান তাকে নিয়ে যাবে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে। তিনি বুঝতে পারবেন যে সব মানুষের জন্য এবং মানুষের সব কর্মের জন্য নবীজী মানবজাতির আদর্শ, সর্বকালের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
আমাদের দেশ তথা বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদের অনাকাঙ্ক্ষিত বিস্তার সবাইকে শঙ্কিত করে তুলেছে। রাসূল (সাঃ) এর আদর্শই সন্ত্রাস দমনের একমাত্র পথ। নৈতিক অবক্ষয়ের সিঁড়ি বেয়ে সন্ত্রাস নামে। সুতরাং সন্ত্রাস দমন করতে হলে জাতির চারিত্রিক উন্নতি অর্জন করা অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এ শর্ত পূরণের জন্য নবী সাঃ-এর চরিত্রই অনুসরণযোগ্য। রাসূল (সাঃ) এর চারিত্রিক গুণাবলির মধ্যেই সন্ত্রাস দমনের প্রাথমিক পদক্ষেপের সন্ধান পাওয়া যায়। অন্যায়, অসাধুতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমনই এক সহযোগী তরুণ সংগঠন মহানবী (সাঃ) ই দাঁড় করিয়েছিলেন। 'হিলফ-উল-ফুজুল' নামের ওই প্রতিরোধক যুব সংগঠনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আজকের আধুনিক বিশ্বেও রয়েছে অম্লান। নেতৃত্বের লোভে সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। রাসূল (সাঃ) নেতৃত্বের লোভকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখেছেন। যারা নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য লালায়িত তারা নেতা হওয়ার অযোগ্য বলে তিনি ঘোষণা করেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অসৎ চাপে বিচার ও শাসন বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তিনি শাসন ও বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বড় বড় সন্ত্রাসী ঘটনার মূলে কখনো কখনো দেখা যায় সামান্য সহিষ্ণুতার অভাব। এই সহিষ্ণুতাবোধে আমরা উদ্দীপ্ত হতে দেখি আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর আদর্শে, যার সামান্যতম প্রয়োগও সন্ত্রাস দমনে কার্জকরী ভূমিকা পালনে সক্ষম। সন্তানকে অপরাধী বানাতে পিতা-মাতাই বড় কারিগর। তাই সন্তানকে সচ্চরিত্রবানরূপে গড়তে নবীর আদর্শেই খুঁজে পাওয়া যায় সুষ্ঠু ও আলোকিত দিকনির্দেশনা। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষরূপে গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইসলাম পিতা-মাতার ওপর অর্পণ করেছে। তারা যদি পরিকল্পিতভাবে তাদের সে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সন্তানদের পক্ষে সন্ত্রাসী হয়ে ওঠা সহজ হবে না। ভ্রাতৃত্ববোধের অভাব সন্ত্রাসের জন্য দায়ী। সব মানুষকে ভ্রাতৃত্ববোধের অদৃশ্য সুতোয় গেঁথে দিয়েছিলেন আমাদের নবী। বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে একটি অখণ্ড ভ্রাতৃসঙ্ঘ।’ মানব জাতির সবাইকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে বাঁধা গেলে কি আর সন্ত্রাস জন্ম নিতে পারত কখনো?
হাদিসে আছে “হুব্বুল অতানে মিনাল ইমান”-দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। মহানবী (সাঃ) নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ও দেশের মানুষকে বেশি ভালবাসতেন। আবার সাধারন মানুষও তাঁকে প্রাণ ভরে ভালবাসতেন। রাসূল (সাঃ) এর ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েই মরু আরবের উগ্র মানুষগুলো তাঁকে ছোটবেলাতেই আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। তিনি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় বারবার মক্কার দিকে ফিরে তাকিয়েছেন। এটা তাঁর দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ। আজ আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বলেই মানুষে মানুষে এত দ্বন্দ্ব, হানাহানি, মারামারি আর খুনখারাবি।
গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সেই সাথে উন্নত বিশ্বে আজ দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটে আজ মহানবী (সাঃ) এর বাণী কার্জকর হয়ে উঠেছে। যেমন একচেটিয়া ব্যবসা ভাল নয়। যে লোক গ্রাম থেকে খাদ্যশস্য কিনে এনে শহরে খুব বেশি দামে বিক্রি করতে না চায়, শেষ পর্জন্ত সেই হয় বেশি লাভবান। কারন সে বেশি বিক্রি করতে পারে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা খাদ্যশস্য মজুত করে রেখে বেশি দামে বিক্রি করার কথা চিন্তা করো না। কারণ তাতে লাভ হবে কম।” ইসলাম কখনই একচেটিয়া ব্যবসায় সমর্থন করে না। আজকে বিশেষ যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার একটি কারণ হলো একচেটিয়া ব্যবসার প্রবণতা। ইসলাম কত দিন আগে শ্রমজীবি মানুষের কথা ভেবেছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার তার ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দাও।” আর ব্যবসায় অসততাকে তিনি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন। এ ধরনের ব্যবসায়ী তাঁর উম্মত নয় বলতেন।
বর্তমান সময়ে যদি কেউ একজন আদর্শ শিক্ষক, একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, একজন আদর্শ ধর্মপ্রচারক, একজন আদর্শ সমাজ সংস্কারক এবং একজন মানবতাবাদীকে খুঁজতে চায় তাহলে তার অনুসন্ধান তাকে নিয়ে যাবে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে। তিনি বুঝতে পারবেন যে সব মানুষের জন্য এবং মানুষের সব কর্মের জন্য নবীজী মানবজাতির আদর্শ, সর্বকালের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
আল-কোরআন ও কিছু তথ্য
কোরআন বিষয়ে এই তথ্যগুলো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানি না অথবা জানলেও অনুশীলনের অভাবে মনে থাকে না। মুসলমানদের কাছে আল-কোরআন মহান আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া একটি মহামুল্যমান উপহার। তাই আমাদের এই মুল্যবান গ্রন্থটির খুঁটীনাটি সকল তথ্য জানা অবশ্যই দরকার।
১) পৃথিবীতে কোন পুস্তকটি বেশী পাঠ করা হয়?উত্তরঃ আল-কোরআন
২) “কোরআন” শব্দটির অর্থ কি?উত্তরঃ আরবি ব্যাকরণে “কোরআন” শব্দটি মাসদার তথা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ‘ক্বারা'আ’ ক্রিয়া পদ থেকে এসেছে যার অর্থ পাঠ করা বা আবৃত্তি করা। এই ক্রিয়াপদটিকেই কোরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৩) কোরআনের আর কি কি নাম আছে?উত্তরঃ আল-ফুরকান, আল-কিতাব, আল-জিকির, আল-নুর, আল-হুদা।
৪) কোরআনে কতটি সুরা ও আয়াত আছে?উত্তরঃ ১১৪ টি সুরা ও ৬৬৬৬ টি আয়াত আছে।
৫) কোরআনে কতটি মাক্কী (মক্কায় অবতীর্ন) সুরা আছে?উত্তরঃ ৮৬ টি
৬) কোরআনে কতটি মাদনী (মদীনায় আবতীর্ন) সুরা আছে?উত্তরঃ ২৮ টি
৭) কোরআনে কতটি মানজিল ( stages) আছে?
উত্তরঃ ৭ টিমানজিল হচ্ছে কোরআনের প্রথম সূরা ফাতিহা ব্যাতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেনী। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে। মানজিলগুলো হচ্ছেঃ
• মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২ -- ৪
• মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫ -- ৯
• মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০ -- ১৬
• মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭ -- ২৫
• মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬ -- ৩৬
• মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭ -- ৪৯
• মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০ -- ১১৪
৮) কোরআনে কতটি রুকু ( paragraph ) আছে?উত্তরঃ ৫৪০ টি
৯) কোরআনে “আল্লাহ” শব্দটি কতবার রয়েছে?উত্তরঃ ২৬৯৮ বার
১০) কোরআনের প্রথম হাফিজ কে ছিলেন?উত্তরঃ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)
১১) মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত কতজন কোরআনের হাফিজ ছিলেন?উত্তরঃ ২২ জন
১২) কোরআন শরীফে কতটি সিজদা আছে?উত্তরঃ ১৪ টি
১৩) কোরআনে কতবার নামাজের গুরত্ব উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ ৭০০ বার
১৪) কোরআনে কতবার যাকাতের গুরত্ব উল্লেখিত হয়েছে?উত্তরঃ ১৫০ বার
১৫) কোরআনে কতবার মুহাম্মদ (সাঃ) কে “ইয়া আয়্যুহান নাবী”-বলে উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ ১১ বার
১৬) কোরআনে কোথায় নবীজি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে “আহাম্মদ” বলা হয়েছে?উত্তরঃ ২৮ পারার সুরা আছ-ছফ্ (৬১) এর ৬ নম্বর আয়াতে।
১৭) নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) কে কোরআন শরীফে কতবার উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ মুহাম্মদ নামে ৪ বার এবং আহাম্মদ নামে ১ বার।
১৮) কোন নবীর নাম কোরআনে সবচেয়ে বেশি উল্লেখিত হয়েছে?উত্তরঃ হজরত মুসা (আঃ)
১৯) কারা কোরআনে খতিবে ওহী ( Copyists of the revelations ) ছিলেন?উত্তরঃ হজরত আবু বকর (রাঃ), হজরত ওসমান (রাঃ), হজরত আলী (রাঃ), হজরত জায়ীদ বিন হারিদ (রাঃ) এবং হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)।
২০) কে কোরআনের আয়াতগুলো সর্বপ্রথম গনণা করেন?উত্তরঃ হজরত আয়েশা (রাঃ)
১) পৃথিবীতে কোন পুস্তকটি বেশী পাঠ করা হয়?উত্তরঃ আল-কোরআন
২) “কোরআন” শব্দটির অর্থ কি?উত্তরঃ আরবি ব্যাকরণে “কোরআন” শব্দটি মাসদার তথা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ‘ক্বারা'আ’ ক্রিয়া পদ থেকে এসেছে যার অর্থ পাঠ করা বা আবৃত্তি করা। এই ক্রিয়াপদটিকেই কোরআন নামের মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৩) কোরআনের আর কি কি নাম আছে?উত্তরঃ আল-ফুরকান, আল-কিতাব, আল-জিকির, আল-নুর, আল-হুদা।
৪) কোরআনে কতটি সুরা ও আয়াত আছে?উত্তরঃ ১১৪ টি সুরা ও ৬৬৬৬ টি আয়াত আছে।
৫) কোরআনে কতটি মাক্কী (মক্কায় অবতীর্ন) সুরা আছে?উত্তরঃ ৮৬ টি
৬) কোরআনে কতটি মাদনী (মদীনায় আবতীর্ন) সুরা আছে?উত্তরঃ ২৮ টি
৭) কোরআনে কতটি মানজিল ( stages) আছে?
উত্তরঃ ৭ টিমানজিল হচ্ছে কোরআনের প্রথম সূরা ফাতিহা ব্যাতীত অন্য সূরাগুলো নিয়ে করা একটি শ্রেনী। এতে ৭ টি মানজিলের মাধ্যমে সবগুলো সূরাকে একসাথে করা হয়েছে। মানজিলগুলো হচ্ছেঃ
• মানজিল ১ = ৩ টি সূরা, যথা, ২ -- ৪
• মানজিল ২ = ৫ টি সূরা, যথা, ৫ -- ৯
• মানজিল ৩ = ৭ টি সূরা, যথা, ১০ -- ১৬
• মানজিল ৪ = ৯ টি সূরা, যথা, ১৭ -- ২৫
• মানজিল ৫ = ১১ টি সূরা, যথা, ২৬ -- ৩৬
• মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরা, যথা, ৩৭ -- ৪৯
• মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরা, যথা, ৫০ -- ১১৪
৮) কোরআনে কতটি রুকু ( paragraph ) আছে?উত্তরঃ ৫৪০ টি
৯) কোরআনে “আল্লাহ” শব্দটি কতবার রয়েছে?উত্তরঃ ২৬৯৮ বার
১০) কোরআনের প্রথম হাফিজ কে ছিলেন?উত্তরঃ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)
১১) মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত কতজন কোরআনের হাফিজ ছিলেন?উত্তরঃ ২২ জন
১২) কোরআন শরীফে কতটি সিজদা আছে?উত্তরঃ ১৪ টি
১৩) কোরআনে কতবার নামাজের গুরত্ব উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ ৭০০ বার
১৪) কোরআনে কতবার যাকাতের গুরত্ব উল্লেখিত হয়েছে?উত্তরঃ ১৫০ বার
১৫) কোরআনে কতবার মুহাম্মদ (সাঃ) কে “ইয়া আয়্যুহান নাবী”-বলে উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ ১১ বার
১৬) কোরআনে কোথায় নবীজি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে “আহাম্মদ” বলা হয়েছে?উত্তরঃ ২৮ পারার সুরা আছ-ছফ্ (৬১) এর ৬ নম্বর আয়াতে।
১৭) নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) কে কোরআন শরীফে কতবার উল্লেখ করা হয়েছে?উত্তরঃ মুহাম্মদ নামে ৪ বার এবং আহাম্মদ নামে ১ বার।
১৮) কোন নবীর নাম কোরআনে সবচেয়ে বেশি উল্লেখিত হয়েছে?উত্তরঃ হজরত মুসা (আঃ)
১৯) কারা কোরআনে খতিবে ওহী ( Copyists of the revelations ) ছিলেন?উত্তরঃ হজরত আবু বকর (রাঃ), হজরত ওসমান (রাঃ), হজরত আলী (রাঃ), হজরত জায়ীদ বিন হারিদ (রাঃ) এবং হজরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)।
২০) কে কোরআনের আয়াতগুলো সর্বপ্রথম গনণা করেন?উত্তরঃ হজরত আয়েশা (রাঃ)
Subscribe to:
Posts (Atom)